|
|
|
|
সন্ত্রাস দমনে অভিজ্ঞতাই জঙ্গলমহলে ভারতীর ভরসা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সিআইডির সন্ত্রাস দমন শাখার দায়িত্বে থাকার সময় এ রাজ্যে জঙ্গি-নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। ২০০৭ সাল থেকে টানা চার বছরের জন্য ডেপুটেশনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা ‘কম্যান্ডান্ট অফ মাল্টি বিগ্রেড ফোর্স’-এর দায়িত্বে থাকার সুবাদে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। মহিলা পুলিশ অফিসার সেই ভারতী ঘোষ-ই এ বার ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার এসপি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলমহলে মাওবাদী দমনের দায়িত্বে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম কোনও জেলায় এক জন মহিলাকে পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ করা হল। বর্তমানে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার (সদর) ভারতীদেবী আগামী সপ্তাহে নতুন কার্যভার নেবেন বলে জেলা পুলিশ সূত্রের খবর। সিআইডিতে থাকাকালীন খাদিম-কর্তা অপহরণ-তদন্তে কিংবা ভদ্রেশ্বর থানার ওসি ভোলানাথ ভাদুড়ি খুনের ঘটনার তদন্তে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ভারতীদেবী। এ রাজ্যে জঙ্গি-নেটওর্য়াকের জাল কেটে দিয়ে নানা সম্ভাব্য-অঘটন রুখে দিয়েছিলেন এই মহিলা পুলিশ অফিসার। ২০০৭ সালে ডেপুটেশনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং শান্তি বাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে বিশ্বের প্রায় সব ক’টি মহাদেশে নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তি বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীদেবী কখনও দক্ষিণ আমেরিকায় ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হাইতি এলাকায় বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ছুটে গিয়েছেন। কখনও আবার দক্ষিণ আফ্রিকার সোমালিয়া কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বাগদাদে গৃহযুদ্ধ সামাল দিয়েছেন। গত বছর বিদেশে থেকে ফেরার পর ভারতীদেবীকে জঙ্গলমহলে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) করে পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও গৃহযুদ্ধ মোকাবিলার পাশাপাশি, দুর্ভিক্ষ পীড়িত এলাকায় কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ভারতীদেবীর এসপি পদে উত্তরণ প্রত্যাশিত বলেই মত পুলিশ মহলের। |
|
|
|
|
|