|
|
|
|
এক্সাইড-ভোটে আজ প্রকাশ্যে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
শিল্পশহর হলদিয়ার অন্যতম প্রধান শিল্প প্রতিষ্ঠান ‘এক্সাইড’-এ স্থায়ী কর্মীদের তরফে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ‘বার্গেনিং অথোরিটি’ নির্বাচন আজ, শুক্রবার। ১৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটাধিকার রয়েছে ৫২৪ জন স্থায়ী কর্মীর। গত বছর প্রবল পরিবর্তন-হওয়ার মধ্যেও অবশ্য এই প্রতিনিধি নির্বাচনে জিতেছিলেন সিটু প্রভাবিত সংগঠনের সদস্যরাই। এ বারও তাঁরাই জিতবেন বলে দাবি সিটু নেতৃত্বের। অন্য দিকে, পরিবর্তিত রাজ্যপাটে হলদিয়ায় একের পর এক শিল্প প্রতিষ্ঠানে সিটু-র ক্ষমতা খর্ব করে তৃণমূল প্রভাবিত শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠন আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ বার তাদেরও লক্ষ্য এক্সাইডের মর্যাদাপূর্ণ লড়াইয়ে জয় ছিনিয়ে আনা। কিন্তু তাদের সমস্যা তারা নিজেরাই। শিল্পশহরে তৃণমূলের পরিচিত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাপ ফেলছে এক্সাইডেও। তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী ওবং বিধায়ক শিউলি সাহার অনুগামীরাদু’তরফেই প্রার্থী দিয়েছে। ফলে ভোট কাটাকাটির অঙ্কে এ বারও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সিটু তথা সিপিএম-শিবির। গত বছর সিটু-প্রভাবিত প্যানেল ১৭টির মধ্যে ১০টি আসনেই জয়ী হয়েছিল। বাকি ৭টি আসন পেয়েছিল বামবিরোধীরা। এ বার ভোটে তিনটি প্যানেল জমা পড়েছে। মোট প্রার্থী ৫১ জন। সিটু প্রভাবিতরা শুভাশিস প্রধানদের ‘গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল মঞ্চের’ নামে ১৭ জনের প্যানেল জমা দিয়েছে। বাম-বিরোধীদের (তৃণমূল প্রভাবিত) দু’টি প্যানেলে রয়েছেন অন্য ৩৪ জন প্রার্থী। শক্তি মাজির ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শ্রমিক মঞ্চের’ প্যানেলকে সমর্থনের কথা স্বীকার করেছেন বিধায়ক শিউলি সাহা। অন্য দিকে, সুকুমার সামন্তদের ‘জাতীয়তাবাদী প্রগতিশীল মঞ্চের’ প্যানেলটি শুভেন্দু-অনুগামীদের বলেই কারখানা সূত্রের খবর। স্থানীয় তৃণমূল নেতা, ‘শুভেন্দু-অনুগামী’ হিসাবে পরিচিত মিলন মণ্ডল অবশ্য এই নির্বাচনে সরাসরি কোনও যোগাযোগের কথা স্বীকার করেননি। শিউলি সাহার বক্তব্য, “এখানে কোনও প্রতীকে ভোট হয় না। তবে শক্তি মাজিদের প্যানেলকেই আমি সমর্থন করছি। আমাদের আশা, শক্তি মাজিরাই জিতবেন।” আবার সিটু নেতা সুদর্শন মান্নারও দাবি, সিটু প্রভাবিত প্যানেলই আগের মতোই কর্মীদের প্রতিনিধিত্বের অধিকার পাবে। |
|
|
|
|
|