|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকেই নানা সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কোর্টের প্রথম বৈঠকের মতোই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকেও বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বৃহস্পতিবার। দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গড়া হল তদন্ত কমিটি। অনুমোদন করা হল পিএইচডি ডিগ্রি। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেটিরিওলজিক্যাল পার্ক তৈরির প্রস্তাবও গৃহীত হল। সেই সঙ্গে বিগত দিনগুলিতে ‘ওয়ার্কিং কমিটি’র সিদ্ধান্ত মেনে যে সব উন্নয়নের কাজ করা হয়েছিল, তাতেও সিলমোহর দেওয়া হল। ৪ মে ফের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে। এ দিন যে সব বিষয়ে আলোকপাত করা যায়নি, ওই দিন সেগুলি নিয়ে আলোচনা হবে। উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “এ বার আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল খুবই শক্তিশালী হয়েছে। বহু গুণীজন ও শিক্ষাবিদ এই দুই গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে রয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ও তার অনুমোদিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেই স্বচ্ছতার সঙ্গে উন্নয়নের কর্মকাণ্ড চালানো যাবে বলে আমরা আশাবাদী।”
১৩ জনকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের প্রস্তাব এসেছিল আগেই। বৃহস্পতিবার কাউন্সিলের প্রথম বৈঠকে তা অনুমোদিত হয়েছে। সমাবর্তনে ওই ডিগ্রি প্রদান করা হবে। অনেকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটি মেটিরিওলজিক্যাল পার্ক করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন অঙ্ক, ওশেনোলজি-সহ বেশ কয়েকটি বিভাগ। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আবহাওয়ার খবরাখবর পাওয়া সম্ভব। এর জন্য খুব বেশি অর্থেরও প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু নানা কারণে তা হয়ে ওঠেনি। এ বার ওই পার্ক তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকার বরাদ্দ করার প্রস্তাব দিয়েছে কাউন্সিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হবে। অর্থ দফতর মঞ্জুর করলেই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে বলে উপাচার্য জানিয়েছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে সরশুনায় তৈরি আইন কলেজে অধ্যক্ষ থেকে কর্মী নিয়োগ নানা ক্ষেত্রে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এ দিন দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে একজন আইনজীবী ও প্রবীণ শিক্ষক রয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম জানাননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ দিনের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধসমাপ্ত অডিটোরিয়াম নিয়ে কী করা হবে, সেই প্রশ্ন ওঠে। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে ওই অডিটোরিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও মাঝপথে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষের মতে, বরাতপ্রাপ্ত সংস্থাটি যথাযথ কাজ করছিল না। ওই সংস্থার পাল্টা দাবি, অন্যায় ভাবে কাজ আটকে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উপাচার্য বলেন, “তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তবে শীঘ্র অডিটোরিয়াম চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|