|
|
|
|
সভাপতি-সহ অনুপস্থিত ৯ |
অনাস্থা পাশ বেলপাহাড়িতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়খণ্ড পার্টির আনা অনাস্থার জেরে অপসারিত হলেন সিপিএম পরিচালিত বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হাড়িরাম সিংহ। বৃহস্পতিবার দুপুরে বেলপাহাড়ি ব্লক প্রশাসনের সভাঘরে অনাস্থা-প্রস্তাব সংক্রান্ত তলবি-সভা ছিল। বিডিও সর্বোদয় সাহার পৌরোহিত্যে ওই সভায় ‘বিক্ষুব্ধ’ তিন সিপিএম সদস্যের সমর্থন নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ করায় ঝাড়খণ্ডীরা। হাড়িরামবাবু-সহ সিপিএমের বাকি ৯ জন সদস্য অবশ্য সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। ঝাড়খণ্ডীদের তরফে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষরকারী ৯ জন সদস্য হাজির হলেও ২ জন ঝাড়খণ্ডী সদস্যও আসেননি। সভায় হাজির হওয়া ১২ জন সদস্যের (ঝাড়খণ্ডী ৯ ও বিক্ষুব্ধ সিপিএম ৩) সমর্থনেই অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়। ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এর পর নতুন সভাপতি নির্বাচনের জন্য পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
সভায় অনুপস্থিতি নিয়ে হাড়িরামবাবু বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত মেনেই এ দিন সভায় যাইনি।” কেন? সিপিএমের বেলপাহাড়ি জোনাল কমিটির সম্পাদক উদ্ধব মাহাতোর জবাব, “যাঁরা অনাস্থা এনেছেন, প্রস্তাব পাশ কারনোর দায়টা তাঁদেরই। সেই কারণেই আমাদের ৯ জন সদস্য যাননি। যে ৩ জন সদস্য (সুপ্রতীক সোরেন, সুনীল মুর্মু ও ময়না শীট) দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।” উদ্ধববাবুর অভিযোগ, “উন্নয়নের অর্থ আত্মসাৎ করার জন্যই একটি স্বার্থান্বেষী মহলের মদতে ঝাড়খণ্ডীরা অনাস্থা এনে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে।”
সিপিএমের দলীয় সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব সমর্থন করায় তিন বিক্ষুব্ধ দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে দলত্যাগ-বিরোধী আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এ দিনই মহকুমাশাসক ও বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে সুপারিশ করেছেন পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএমের দলনেতা কালীপদ বেস্রা। জেলা সম্পাদক দীপক সরকার পার্টি কংগ্রেস থেকে ফিরলে ওই তিন জনকে দল থেকে বহিষ্কার করার চূড়ান্ত চিঠিও প্রশাসনিক মহলে জমা দেওয়া হবে বলে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব জানিয়েছেন। দলত্যাগ-বিরোধী আইনে ৩ বিক্ষুব্ধ সিপিএম সদস্যের সদস্য-পদ খারিজ হলে পরবর্তী সভাপতি নির্বাচনে ঝাড়খণ্ডীদেরও বেগ পেতে হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সভাপতি-অপসারণ পর্ব শেষ করেই অবশ্য এ দিন বিকেলে বেলপাহাড়িতে সবুজ আবির মেখে উল্লাস-মিছিল করে ঝাড়খণ্ডীরা। মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর নেত্রী চুনিবালা হাঁসদা। তাঁর দাবি, “পরাজয় নিশ্চিত বুঝেই হাড়িরামবাবু-সহ সিপিএমের ৯ সদস্য সভায় আসেননি। আমরা ক্ষমতায় এসে প্রকৃত উন্নয়ন করে দেখাব।” |
|
|
|
|
|