বাদশা আর দিদি।
নাইটদের প্রথম ম্যাচে বৃষ্টিভেজা ইডেন মাতালো এই জুটি।
রাত ঠিক দশটা। ইডেনের পিচ পর্যবেক্ষণ যখন শুরু হবো-হবো করছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেকেআর মালিক শাহরুখ খান সারা মাঠ চক্কর দিলেন। ইডেন জুড়ে তখন হাততালির ঝড়। এই প্রথম কোনও আইপিএল ম্যাচে এলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। প্রমাণ হয়ে গেল ফিরে এসেছে আইপিএল। প্রমাণ হয়ে গেল, বৃষ্টি আসুক বা ঝড়, ইডেনের হৃদয় আটকে টি-টোয়েন্টিতেই।
ইডেনের শেষ টেস্ট দেখতে যেখানে দশ হাজার লোকও মাঠে আসেনি, সেখানে এ দিন মাঠ প্রায় ভর্তি ছিল। শুধু তাই নয়, ম্যাচ শুরু হওয়ার কথা রাত আটটায় হলে কী হবে, শেষ পর্যন্ত সেটা রাত সাড়ে দশটায় শুরু হলেও কেউ মাঠ ছাড়েননি। যা প্রমাণ করে দিল কেকেআর এবং শাহরুখের চৌম্বকীয় আকর্ষণ।
বলার মতো ঘটনা শুধু এটা নয়। আগের বছরগুলোয় কেকেআরের প্রথম ম্যাচ দেখতে বিশাল দলবল নিয়ে হাজির হতেন শাহরুখ খান। কিন্তু মনে হয় অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শাহরুখ বুঝেছেন, ব্র্যান্ড শাহরুখ তাঁর টিমের চেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে। তাই এ দিন ইচ্ছে করেই কেমন যেন প্রচারের আলো থেকে দূরে থাকলেন শাহরুখ। আগের বছরের মতো তাই এ বার দেখা গেল না অর্জুন রামপল, মেহের জেসিয়া বা সঞ্জয় কপূরদের। এমনকী বিকেল চারটেয় হোটেলে ঢোকার পর থেকেও শাহরুখকে ঘিরে পরিচিত হুড়োহুড়িটা ছিল না।
এসআরকে নিজে প্রচার থেকে দূরে থাকলে কী হবে, ইডেনের দর্শক তাতে পাত্তা দেয়নি। বরং শাহরুখ ঢোকার পর থেকে উন্মত্ত হয়ে যায় ইডেন। দর্শকদের দিকে চুমু ছুড়ে দিতে থাকেন এসআরকে।
এ ছাড়া আইপিএলের উত্তেজনায় হাজির টলি-ব্রিগেডও। কেকেআরের পুরনো ভক্ত জিৎ এবং যীশু সেনগুপ্ত প্ল্যাটিনাম লাউঞ্জ থেকে গৌতম গম্ভীরদের জন্য গলা ফাটালেন। “এটা কেকেআরের প্রথম ম্যাচ। আর আমার দলকে তো সমর্থন করতেই হবে,” ভক্তদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে তুলতে বললেন জিৎ। ইডেনে দেখা গেল সোহিনী পাল, তনুশ্রী, কাঞ্চনা মল্লিক, সর্ম্পূণা লাহিড়ি, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং অঙ্কিতাদেরও। |