|
|
|
|
ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র, ফের পরীক্ষার দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রতি বছরই বাংলা ও ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র হয়। কিন্তু এ বার শুধু ইংরেজির প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে পরীক্ষার্থীদের চক্ষু চড়কগাছ। কী লিখবেন? অর্ধেক প্রশ্নের তো মানেই বোঝা যাচ্ছে না! সেন্টার ইনচার্জকে পরীক্ষার্থীরা বললেন, ‘কিছু একটা করুন, না হলে নিজেদের কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে দিন’। শেষমেশ কিছুই হল না। যেটুকু বোঝা গেল, সেটুকু লিখেই বাড়ি ফিরলেন পরীক্ষার্থীরা। এমনই ঘটনা ঘটল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ্যা অনার্সের তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষায়। তৃতীয় বর্ষে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ২০০ নম্বর প্র্যাকটিক্যাল, ১০০ নম্বর লিখিত পরীক্ষা। বুধবার লিখিত পরীক্ষার দিনই সমস্যা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মোট ৭টি কলেজে পুষ্টিবিদ্যায় অনার্স পড়ানো হয়। প্রতিটি কলেজেই ভোগান্তির শিকার হন পরীক্ষার্থীরা। অন্যত্র তেমন ক্ষোভ-বিক্ষোভ না হলেও গোয়ালতোড়ের সাঁওতাল বিদ্রোহ সার্ধ-শতবর্ষ মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বৃহস্পতিবার কলেজের অধ্যক্ষ হরিহর ভৌমিকের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। অধ্যক্ষ বলেন, “যাঁদের উদাসীনতায় এই ঘটনা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাব।” বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি কন্ট্রোলার সুভাষচন্দ্র মাইতি-র বক্তব্য, “পদার্থবিদ্যা, অঙ্ক-সহ বিভিন্ন অনার্সের প্রশ্নপত্র এখন ইংরেজিতেই হচ্ছে। সেই জন্যও এমনটা করা হতে পারে। তবে প্রশ্নপত্রের ব্যাপারটি খুবই গোপনীয়। মডারেটররা কী করেছেন তা দেখারও সুযোগ থাকে না। বিষয়টি দেখা হবে।” কিন্তু নিয়ম তো মানা উচিত ছিল? এই প্রশ্ন তুলেছেন গোয়ালতোড় কলেজের অধ্যক্ষই। তাঁর কথায়, “আমাদের দাবি, ফের বাংলায় প্রশ্নপত্র করে পরীক্ষা নেওয়া হোক। যাতে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে।” এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখব।” |
|
|
|
|
|