|
|
|
|
নতুন ৪১৬টি অটোর অনুমতি, গ্রাম-শহরে যোগবৃদ্ধির উদ্যোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ যাতে শহর ও শহরতলি এলাকায় দ্রুত আসতে পারেন, সে জন্য উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিবহণ দফতর। রাস্তায় চলাচলের জন্য নতুন ৪১৬টি অটোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর তার সিংহভাগই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে শহর, শহরতলির রুটে। মোট ৯২৫টি অটো চালানোর আবেদন জমা পড়েছিল পরিবহণ দফতরে। এর মধ্যে মঞ্জুর হয়েছে অবশ্য অর্ধেকেরও কম, ৪১৬টি আবেদন। জেলা পরিবহণ আধিকারিক বিপুল বিশ্বাস বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রামে অটো-ট্রেকার চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। আবেদন মঞ্জুরের ক্ষেত্রেও এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের সব এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সে ভাবে গড়ে ওঠেনি বলেই অভিযোগ। এখনও জেলার বিস্তীণর্র্ এলাকায় পাকা রাস্তা নেই। রয়েছে মোরাম কিংবা মাটির রাস্তা। একাংশ পাকা রাস্তা আবার দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। ফলে, আশপাশের গ্রামের মানুষ চরম সমস্যায় পড়েন। এখনও জেলার একাংশ গ্রামে যাতায়াতের জন্য ট্রলি, গরুর গাড়িই ভরসা। এর ফলে, যাতায়াতে সময়ও লাগে। জেলা পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, সাধারণ মানুষের সমস্যা কমাতে পাকা রাস্তা নেই, কিন্তু বড় মোরাম রাস্তা রয়েছে, এমন এলাকাতেও অটো-ট্রেকার চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, “নানা কাজে মানুষ এখন অনেক বেশি সংখ্যায় গ্রাম থেকে শহরে আসছেন। কিন্তু যাতায়াতের মাধ্যম পাচ্ছেন না। তাঁদের সুবিধার জন্যই প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও অটো-ট্রেকার চালানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।”
মেদিনীপুর-খড়্গপুর শহর ও শহরতলিতে ক’বছর আগে থেকেই অটোর সংখ্যা বাড়ছে। নতুন-নতুন রুটে অটো চালু হয়েছে। এর ফলে মাঝেমধ্যে অবশ্য যানজট-সমস্যাও প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে। নতুন অটো চালানোর অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বার এই সমস্যার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পরিবহণ দফতর। দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “এ বার অনেকে মেদিনীপুর শহরের বড়বাজার হয়ে অটো চালানোর অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি।” তাঁর কথায়, “আবেদন মঞ্জুর হলে যানজট আরও বাড়ত।” জানা গিয়েছে, শুধু অটোই নয়, যাত্রিবাহী ১৩৪টি ছোট লরি, ১১২টি বাস, ১২টি ছোট বাস চালানোরও আবেদন পরিবহণ দফতরে জমা পড়েছে। সে-সব আবেদনও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জঙ্গলমহল এলাকাকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জেলা পরিবহণ দফতরের সরকার মনোনীত সদস্য প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “এত দিন শহর ও শহরতলি এলাকায় বেশি অটো চলত। এ বার প্রত্যন্ত গ্রামেও অটো-ট্রেকার চলবে। এর ফলে, যাতায়াতের সুবিধা হবে।” তাঁর কথায়, “আমরা ভেবেছি, যে-সব নতুন অটো চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে, সেগুলির ৭০ শতাংশের যাত্রাপথই যেন গ্রামের রাস্তায় হয়। যেখানে বাস-ট্রেকার চলে না। বাকি ৩০ শতাংশ যাত্রাপথ বড় রাস্তায় হোক, আপত্তি নেই।” জেলা পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “অপেক্ষাকৃত কম হলেও গুরুত্ব বুঝে শহরাঞ্চলেও নতুন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যেমন মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁচখুরি পর্যন্ত অটো চলতই। এ বার রঘুনাথপুর, পালজাগুল পর্যন্ত অটো চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, আশপাশের এলাকার মানুষও উপকৃত হবেন।” |
|
|
|
|
|