দিশাহারা ক্ষতিগ্রস্তেরা
হাতির তাণ্ডবে নষ্ট ফসল, এখনও মিলল না ক্ষতিপূরণ
প্তাহখানেক অতিক্রান্ত। কিন্তু হাতির তাণ্ডবে নষ্ট ফসলের ক্ষতিপূরণ এখনও পেলেন না গোঘাটের চারটি পঞ্চায়েত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। কবে, কী ভাবে সেই ক্ষতিপূরণ মিলবে, সে ব্যাপারেও তাঁরা দিশাহারা।
হুগলির ডিএফও গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানালে আমরা তদন্ত করে দেখব ক্ষতির পরিমাণ। সেই রিপোর্ট পাঠিয়ে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের সুপারিশ করব।” গ্রামবাসীদের এ ব্যাপারে সচেতন করার জন্য আরামবাগের রেঞ্জ অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। কিন্তু এখনও গ্রামে এ সংক্রান্ত প্রচার চালানো হয়নি বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের।
গত ২৫ মার্চ, রবিবার গভীর রাতে গড়বেতা রেঞ্জ থেকে প্রায় ২৪টি হাতির একটি দল পশ্চিম মেদিনীপুরের সুলতানপুর হয়ে ঢুকে পড়ে হুগলির গোঘাটে। সোমবার দিনভর গোঘাট-১ ব্লকের নকুণ্ডা, শ্যাওড়া, গোঘাট এবং কামারপুকুর পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু খেতের বোরো ধান, তিল, সব্জি এবং পেঁয়াজ চাষের ক্ষতি করে। আরামবাগ মহকুমা কৃষি দফতরের হিসেবে, প্রায় ৪০০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট করে হাতিরা।
গ্রামবাসীদের সঙ্গে হাতি তাড়াতে নেমেছিলেন বন দফতরের কর্মীরাও। সেই পর্ব মিটে যাওয়ার পরে গ্রামে আর কোনও বনকর্তা বা বনকর্মীদের দেখা মেলেনি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। এই অবস্থায় ক্ষতিপূরণের জন্য তাঁরা কোথায় যাবেন, তা ভেবে পাচ্ছেন না। প্রায় প্রতিদিনই গ্রামবাসীরা ভিড় জমাচ্ছেন পঞ্চায়েত অফিসে।
নকুণ্ডা পঞ্চায়েতের কোটা গ্রামের বোরো চাষি কার্তিক দাস বলেন, “পাঁচ হাজার টাকা খরচ করে চাষ করেছিলাম। অধিকাংশ ফসলই নষ্ট করে দিয়েছে হাতিরা। কী ভাবে যে ক্ষতিপূরণ পাব, কিছুই বুঝতে পারছি না।” শ্যাওড়া পঞ্চায়েতের বেলেকুসমা গ্রামের শ্রীকান্ত মণ্ডল নিজের জমিতে সব ধরনের চাষই করেছিলেন। হাতির হানায় তিনিও ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁর কথায়, “পঞ্চায়েত থেকে শুধু বলছে, বন দফতর ক্ষতিপূরণ দেবে। কিন্তু কী ভাবে দেবে, কিছুই বুঝতে পারছি না। এখনও তো বনকর্তাদের কেউ গ্রামে এলেন না।” একই বক্তব্য অন্য ক্ষতিগ্রস্তদেরও। বন দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছেন ওই সব পঞ্চায়েত প্রধানেরা।
আরামবাগ ডিভিশনের রেঞ্জ অফিসার চন্দ্রশেখর মাহাতো জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরির সময়ে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সাক্ষী হিসেবে থাকতে হয়। ওই সব পঞ্চায়েতের প্রধানরা সময় দিলে তা করা হবে। ক্ষতিগ্রস্তেরা যাতে তাঁর অফিসে অভিযোগপত্র জমা দেন, সে ব্যাপারে আজ, শুক্রবার থেকে প্রচার করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.