সপ্তাহ খানেক ধরে এক দল হনুমানের ‘সন্ত্রাসে’ আতঙ্কিত আরামবাগের হরিনখোলা ১ ও ২ পঞ্চায়েতের ১০-১২টি গ্রাম। গ্রামবাসীদের দাবি, সেখানকার মজফফ্রপুর, দর্জিপোতা, শ্যামগ্রাম, তাজপুর-সহ বিভিন্ন গ্রামে খান কুড়ি হনুমানের একটি দল ‘তাণ্ডব’ চালাচ্ছে। তারা যখন তখন ঘরে ঢুকে জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করছে, জমির ফসল নষ্ট করছে। এমনকী, পথেঘাটে অতর্কিতে হামলা চালাচ্ছে মানুষের উপরেও। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে হনুমানের আক্রমণে অন্তত ২৫ জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। অনেককে হাসপাতালে যেতে হয়ছে। তবে, বন দফতরকে কিছুই জানানো হয়নি। বন দফতরের আরামবাগ শাখার রেঞ্জ অফিসার চন্দ্রশেখর মাহাতো বলেন, “হনুমানের একটা দলের সকলে হামলা করে না। দলের দু’একটি হনুমান নানা কারণে অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে। কোনও কারণে রাগ, সঙ্গীর অভাব অথবা কোনও মানুষ অতিষ্ঠ করলে এমন হতে পারে।” চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, “আমাদের জানানো হলে খাঁচা পেতে দুষ্টু হনুমানকে ধরার চেষ্টা করব। আবার খাঁচা দেখে পুরো দলটাই পালাতে পারে।”
|
রাস্তার পাশে জমা হচ্ছে আবর্জনা। আর সেই আবর্জনা মাড়িয়েই পথ চলতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। করিমপুরে আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা নেই। ফলে রাস্তার পাশেই আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হন অনেকে। সেগুলো শেষমেশ এসে জড়ো হয় রাস্তার উপরেই। কোথাও আবার বাড়ির পাশে কোনও ফাঁকা জায়গা পড়ে থাকলে সেখানেও নোংড়া ফেলা হয়। এতে যেমন এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে তেমনি সেই আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছেন এলাকাবাসী। বর্ষাকালে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কংগ্রেসের তারক সরখেল বলেন, ‘‘সত্যিই এটা সমস্যা। করিমপুর পুরসভা না হলে পঞ্চায়েতের পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। পঞ্চায়েত সমিতিকেও জানিয়েছি।’’
|
বিমান চালানোর সময় হঠাৎ চালকের সামনে বেরিয়ে এল সাপ। বৃহস্পতিবার এমনই চমকপ্রদ অভিজ্ঞতা হল অস্ট্রেলীয় বিমান সংস্থা এয়ার ফ্রন্টিয়ারের পাইলট ব্রাডেন ব্লেনারহ্যাসেটের। ডারউইন থেকে সূদুর পেপ্পিমেনার্তি শহরে মাল সরবরাহ করতে যাচ্ছিলেন তিনি। ডারউইনের বিমানবন্দরে খবর পাঠিয়ে তৎক্ষণাৎ বিমান অবতরণ করেন চালক। কিন্তু বিমান মাটি ছোঁয়ার পর আর দেখা মেলেনি সাপটির। ব্রাডেন বলেন, ‘‘বিমান নামানোর সময় সাপটি আমার পা বেয়ে নামছিল।’’ এয়ার ফ্রন্টিয়ারের ডিরেক্টর, জেফ্রি হান্ট জানান, আগামী দিনে যাতে অন্য কোনও বিমানে এরকম না হয়, তা দেখতে খাঁচায় ইঁদুর রেখে টোপ দিয়ে বিমানে সাপ ধরা হবে।
|
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক যুবকের। বিকাশ রায় (৩৬) নামে ওই যুবকের বাড়ি ইন্দাস থানার চাঁদ গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার সকালে মাঠে যাওয়ার পথে বিকাশবাবুকে সাপ ছোবল মারে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। বুধবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
|
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ার। বুধবার সন্ধ্যায় গোঘাটের দিঘড়া গ্রামের বাসিন্দা অলকা দালাল (৫৫) নামে ওই প্রৌঢ়াকে একটি সাপ বাড়ির দাওয়ায় উঠে ছোবল মারে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আরামবাগ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। |