|
|
|
|
সেতুর পিলারে ফাটল, চলছে ঝুঁকির পারাপার |
রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় • বাগনান |
পিলারে ফাটল। বেশ কিছু অংশে চাঙড় খসে যাওয়ায় ভিতরের রড দেখা যায়। সেতুতে বেশ কয়েকটি জায়গায় ছোটবড় গর্ত। রেলিং ভেঙে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। বছর ৩৫ আগে তৈরি হাওড়ার বাগনান ২ ব্লকের বাঘাবেড়িয়া গ্রামের ৫০ ফুট লম্বা ও সাড়ে ৫ ফুট চওড়া সেতুটির এখন এমনই হাল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তৈরির পর থেকে আর ওই সেতুর সংস্কার হয়নি। মাঝে দু’-একবার জোড়াতালি দিয়ে কিছু কাজ হয়েছিল। কিন্তু সে-ও কবে, মনে করতে পারেন না গ্রামবাসীরা। অথচ এই সেতুর উপর বীরকূল, পালোড়া, বাঘাবেড়িয়া, খাঞ্জাদাপুর, পার্বতীপুর, বৈদ্যনাথপুর, কাটাপুকুর-সহ অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
বাঘাবেড়িয়া-পালোড়া গ্রামের মাঝে ওই বিপজ্জনক ওই সেতু দিয়ে অবিরাম সাইকেল, রিকশা, যন্ত্রচালিত ভ্যান, মোটরবাইক, ছোট গাড়ি যাতায়াত করে। বাঘাবেড়িয়া গ্রামেই বাড়ি ধীরেন মণ্ডলের। তাঁর কথায়, “এই সেতু আশপাশের গ্রামগুলি ছাড়া বাগনান কলেজ, কাটাপুকুর হাইস্কুল, বৈদ্যনাথপুর হাইস্কুল, কাটাপুকুর পোষ্ট অফিস, বাঘাবেড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার প্রধান ভরসা। রেলিং, পিলার ভাঙা সেতু দিয়ে বেশ ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচল করে। আমাদের ছেলেমেয়েরাও সেতু পার হয়ে পাশের গ্রামে স্কুল-কলেজে যায়। ছোটখাটো দুর্ঘটনা তো লেগেই থাকে। যে কোনও দিন বড় কিছু ঘটে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।”
সেতুর কাছেই দোকান রমেশ করের। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে দেখছি ভাঙা রেলিং নিয়ে সেতুটি একই ভাবে রয়েছে। পিলার ভেঙেছে, চাঙর খসেছে, রেলিং নেই সব জেনেও পঞ্চায়েত-প্রশাসন নির্বিকার। বেশ কয়েক বার দুর্ঘটনা হয়েছে। কিছু দিন আগেই তো সাইকেল নিয়ে সেতু থেকে খালে পড়ে গিয়েছে এক জন। সেতুটির অবিলম্বে মেরামত প্রয়োজন।” ধীরেনবাবু জানান, সেতুর এই বিপজ্জনক হাল দেখে পঞ্চায়েত-প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘বিপজ্জনক সেতু’ লেখা একটি বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া ছাড়া এতদিনে আর কোনও কাজই হয়নি। সেই বোর্ডও অবশ্য এখন নেই। আন্টিলা পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য দীপঙ্কর সামন্ত বলেন, “সেতুটি মেরামতের জন্য আমরা জেলা পরিষদ, বিধায়ক, বিডিও সেচ দফতরে জানিয়েছি। সেচ দফতর থেকে সেতু পরিদর্শন করে সেটি মেরামত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।” সেচ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই সেতু মেরামত করার চিন্তাভাবনা চলছে। |
|
|
|
|
|