উত্তরপ্রদেশে বিপর্যয় নিয়ে বৈঠকে রাহুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বিধানসভা নির্বাচনের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্বকে এখন থেকেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিলেন রাহুল গাঁধী।
উত্তরপ্রদেশ ভোটে দলের বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করতে দিল্লিতে আজ ও আগামিকাল দু’দিনের বৈঠক ডেকেছেন রাহুল। কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, মূলত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের যে সব প্রার্থী কুড়ি হাজার বা তার বেশি ভোট পেয়েও হেরেছেন, আজ তাঁদের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকের আগে পরাজিত প্রার্থীদের হাতে একটি প্রশ্নপত্র ধরানো হয়। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে তাঁরা কতটা সহযোগিতা পেয়েছেন, কোথাও ত্রুটি ছিল কি না, বা কেন হেরেছেন এ সব তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
প্রার্থীদের ‘উত্তর’ হাতে নিয়েই আজ দিল্লির গুরুদ্বারা রেকাবগঞ্জ রোডে বৈঠকে বসেন রাহুল। দলের শীর্ষ সূত্রের খবর, বৈঠকে সিংহভাগ প্রার্থীরই বক্তব্য ছিল, ভোট চলাকালীন দিল্লির নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের অকারণ বিবৃতি মানুষ ভাল ভাবে নেননি। উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা দিগ্বিজয় সিংহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদ, শ্রীপ্রকাশ জয়সওয়াল, বেনীপ্রসাদ বর্মাদের বিরুদ্ধে রাজ্য নেতারা ক্ষোভ উগরে দেন। দিগ্বিজয়কে বাদ দিয়ে উত্তরপ্রদেশের অন্য সব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস সাংসদদের সঙ্গে কাল বৈঠকে বসবেন রাহুল। সংখ্যালঘু সংরক্ষণের ব্যাপারে কেন্দ্রের ঘোষণার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও রাজ্য নেতারা প্রশ্ন তোলেন। তাঁদের মতে, কেন্দ্র এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছে। সাংগঠনিক দুর্বলতা ও প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েও অভিযোগ ওঠে। কিন্তু রাহুলের বক্তব্য, সে ব্যাপারে ত্রুটি হয়নি। কারণ, বিষয়টি তিনি নিজে তদারকি করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের ফল প্রকাশের দিনই রাহুল বলেছিলেন, “যখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি, তখন সব দায় আমার। প্রতিশ্রুতি মতো এর পরেও উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে যাব না।” সে দিক থেকে রাহুলের আজকের বৈঠক যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, বৈঠকে রাহুল বলেন, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করে দিতে হবে।
রাজ্যে কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা যে বাড়ছে, তা ভোট শতাংশ বৃদ্ধিতেই প্রমাণিত। সাংগঠনিক রদবদলও হতে পারে রাজ্যে। সরানো হতে পারে দিগ্বিজয় সিংহ ও প্রদেশ সভাপতি রীতা বহুগুণাকে। |