ভুয়ো সংঘর্ষে ‘মদত’, ধৃত বিজেপি বিধায়ক |
সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন রাজস্থানের বিজেপি বিধায়ক রাজেন্দ্র রাঠৌর। ২০০৬ সালে ২৩ অক্টোবর জয়পুর শহরের উপকণ্ঠে দারা সিংহ নামে এক ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে মারা যান। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ওই সংঘর্ষ ভুয়ো ছিল এবং রাজেন্দ্রই সেই ঘটনার প্রধান মদতদাতা। গ্রেফতার করার অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যেই চার্জশিট দেওয়া হয়।
দারা সিংহ নিহত হওয়ার ঘটনা যখন ঘটে, তখন রাজস্থানে সরকারে ছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে-র ‘ঘনিষ্ঠ’ রাজেন্দ্র তখন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী ছিলেন। এখন সেখানে কংগ্রেস সরকার। পাঁচ বারের বিধায়ক রাজেন্দ্র এখন বিধানসভায় বিজেপি-র মুখ্য সচেতক। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই কংগ্রেস সরকার তাঁকে ফাঁসাতে চাইছে। প্রত্যাশিত ভাবেই রাজেন্দ্রর পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁর দল। নয়াদিল্লিতে বিজেপির মুখপাত্র নির্মলা সীতারামন বলেন, “কংগ্রেস নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই সিবিআই-এর মতো একটি সংস্থাকে ব্যবহার করছে।” তাঁর যুক্তি ২০০৬-এ যখন এফআইআর দায়ের করা হয়, তখন রাজেন্দ্রর নাম সেখানে ছিল না। পরে তাঁর নাম যোগ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাজেন্দ্রকে সিবিআই অফিসে ডেকে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় ইতিমধ্যেই ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাঁরা এখন জেলে। এঁদের মধ্যে এক জন ছাড়া বাকি সকলেই পুলিশের অফিসার। সেই দলে এডিজি, এসপি পদমর্যাদার অফিসারও রয়েছেন। তবে, তিন অফিসার এখনও বেপাত্তা। রাজস্থান পুলিশের গা-ঢাকা দেওয়া অতিরিক্ত ডি জি এ কে জৈন ধরার পরার প্রায় ৬ সপ্তাহ পরেই গ্রেফতার করা হল রাজেন্দ্রকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, দারা সিংহ নিজেও ছিলেন অপরাধ জগতের মানুষ। বেআইনি মদ চোরাচালানের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ।
তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে, দারা সিংহের বিপরীত গোষ্ঠীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল রাজেন্দ্রর। অভিযোগ, তাঁরই নির্দেশে রাজস্থান পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ জয়পুর বিমানবন্দর থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে দারা সিংহকে গুলি করে মেরে ফেলে।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে কুড়ি বছর আগের একটি ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনার শুনানি উপলক্ষে সিবিআই আদালত সতেরো জন পুলিশ কর্মী এবং অফিসারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। |