হাইকোর্টের নির্দেশ, সিবিআই তদন্তের জন্য চিঠি কুরেশির |
ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভা ভোট বাতিল করার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল রাঁচি হাইকোর্ট। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ বালমুচুর এক আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আজ নির্বাচন কমিশনকে এই তদন্ত করানোর নির্দেশ দিয়েছে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ চন্দ্র তাতিয়া ও বিচারপতি অপরেশ কুমার সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের মতো কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এই তদন্ত করানোর নির্দেশ দেন। পরে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি বলেন, তারা সিবিআই তদন্ত করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করে চিঠি দেবেন।
৩০ মার্চ, ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে রাঁচি শহরের কাছেই, আয়কর দফতর ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে একটি গাড়ি আটক করে। ওই গাড়ি থেকে ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও আয়কর কর্তারা জানান, গাড়িটি রাজ্যসভা নির্বাচনে লড়তে নামা এক নির্দল প্রার্থীর। এর পরিপ্রেক্ষিতে, পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণে কমিশনের ধারণা হয়, ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভা ভোটে প্রচুর টাকার খেলা চলেছে। এর পরেই কমিশনের তরফে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিলের কাছে ওই রাজ্যের ভোট বাতিল করার সুপারিশ করা হয়। তার ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি ভোট বাতিল বলে ঘোষণা করেন।
এ বার ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভা ভোটে প্রার্থী ছিলেন প্রদীপ বালমুচু। তিনি কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত মঙ্গলবার রাঁচি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করেন। আজ সেই মামলার শুনানিতেই ঘটনার বিশদ তদন্তের নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। তবে প্রদীপবাবু কেন এই মামলা করলেন তা নিয়ে কংগ্রেসের মধ্যেই খানিকটা বিভ্রান্তি রয়েছে। এই মামলা করার বিষয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের কতখানি সায় রয়েছে তা নিয়েও কংগ্রেসিদের মধ্যে মতান্তর আছে। মামলাকারী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এই বিষয়ে কিছু বলতে রাজি না হলেও, দলের অপর এক শীর্ষ নেতা বলেন, সভাপতি কেন মামলা করলেন তা স্পষ্ট নয়। ভোট গণনা হলে প্রদীপবাবু জিতবেনই এমন নিশ্চয়তা ছিল না। কারণ জেতার মতো ভোট কংগ্রেসের হাতে ছিল না। তবে প্রদীপবাবুর এক ঘনিষ্ঠ নেতার বক্তব্য: প্রদীপবাবুর পক্ষে, কংগ্রেসের বাইরের বেশ কয়েকটি ভোট পড়েছে। সুতরাং জেতার সুযোগ তাঁর সামনে ছিল। তাই তিনি মামলা করেছেন। |