জামশেদপুরের সুন্দরনগরে আজ সকালে চলন্ত অবস্থায় যন্ত্রাংশ ভেঙে উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই একটি মিনিবাস। এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান চল্লিশোর্ধ্ব এক যাত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বেশ্বর কর্মকার। তিনি পোটকা থানা এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় কম বেশি জখম হয়েছেন ওই বাসটির সব যাত্রীই। আহতদের মধ্যে ২০ জনের আঘাত গুরুতর। এঁদের মধ্য পাঁচজন মহিলা। জামশেদপুরের একাধিক হাসপাতালে গুরুতর ভাবে জখমদের চিকিৎসা চলছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, বাসটি চাইবাসা-টাটা রোড ধরে হলদিপোখর থেকে টাটানগরে আসছিল। মহিলা-পুরুষ মিলিয়ে বাসটিতে জনা পঞ্চাশেক যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন ইস্পাতনগরীর কয়েকটি কারখানার ঠিকা শ্রমিক। সকাল সওয়া আটটা নাগাদ সুন্দরনগর থানার নীলডুংরির কাছে আসতেই বাসের পাত্তি-সহ অন্য কয়েকটি যন্ত্রাংশও ভেঙে পড়ে। পাত্তি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার উপরে উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই মিনিবাসটি। এলাকার বাসিন্দারাই প্রথম উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ওই মিনিবাস দুর্ঘটনাকে ঘিরে যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়ে পরিবহণ দফতরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত উদাসীনতার অভিযোগে এ দিন সরব হয় ইস্পাতনগরী। বাসিন্দাদের বক্তব্য, রাস্তায় বাস নামানোর আগে নিয়মিত খুঁটিনাটি পরীক্ষা হচ্ছে কিনা তার উপরে পরিবহণ দফতরের কোনও নজরদারি নেই। থাকলে মাঝ রাস্তায় এই ভাবে বাসের কলকব্জা ভেঙে পড়ার ঘটনা হয়তো এড়ানো যেত।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.