চলতি মাসেই অসমে ব্রু শরণার্থীদের ফেরানো শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম আজ মিজোরামে ঘোষণা করলেন, আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে রিয়াং (ব্রু নামেও পরিচিত) শরণার্থীদের ঘরে ফেরানো শুরু হবে। শরণার্থী সমস্যা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য দুই দিনের উত্তর-পূর্বাঞ্চল সফরে এসেছেন চিদম্বরম। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় রিয়াং শরণার্থী শিবিরগুলি ঘুরে দেখেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার মিজোরামে রিয়াং গ্রামেও পা রাখেন তিনি।
আজ কোথাও কপ্টারে, কোথাও সড়কপথে চিদম্বরম ঘুরে দেখলেন রিয়াং গ্রাম। জানালেন, মিজোরাম সরকার ৬৬৯টি পরিবারের ৩৩৫০ জনকে ‘রিয়াং শরণার্থী’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। তাদের ২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ মে-র মধ্যে মিজোরামে ফিরিয়ে আনা হবে। চিদম্বরম দাবি করেন, “রিয়াংদের ঘরে ফেরানো নিয়ে মিজো মুখ্যমন্ত্রী ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী একমত। রিয়াংদের, শরণার্থী শিবির ছেড়ে নিজেদের গ্রামে ফিরে আসতে হবে। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। শরণার্থী ফেরানো প্রক্রিয়ায় কোনও ব্যাঘাত বরদাস্ত করা হবে না।”
কিন্তু, শরণার্থীদের সংখ্যা নিয়ে ফের বিতর্ক ঘনিয়েছে। কাল, চিদম্বরম যখন মুখ্যমন্ত্রী লাল থানহাওলা ও রিয়াং নেতাদের সঙ্গে শরণার্থী ফেরানো প্রক্রিয়ার রূপায়ণ নিয়ে আলোচনা করছেন, তখনই শরণার্থী চিহ্নিতকরণ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে প্রতিবাদ মিছিল বেরোয় রিয়াংদের। ‘মিজোরাম ব্রু ডিসপ্লেস্ড পিপল্স ফোরামের সভাপতি এ সাউইবুঙ্গা বলেন, “১৯৯৭ সালে জাতি-সংঘর্ষের পরে ৪১ হাজার রিয়াংকে মিজোরাম ছেড়ে ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরে ৬টি শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। তাদের মধ্যে এখন বাকি ৩৬ হাজার। এরা সকলেই শরণার্থী। সকলকেই ফেরাতে হবে। এ ক্ষেত্রে, ১৯৯৫ সালকে নির্ধারক বছর হিসাবে ধরে শরণার্থীদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা মানা হবে না।” |