‘জীবিত’ নেতাকে ‘মৃত’ ঘোষণা, ক্ষুব্ধ অসম সিপিআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নেতা যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন, তখনই সিপিআই কেন্দ্রীয় দফতরের তরফে ঘোষণা করা হল, ‘প্রমোদ গগৈ আর নেই।’ বিকেলেও ভুল শোধরানো হয়নি। উল্টে দলের কেন্দ্রীয় দফতরের যুক্তি, ভেন্টিলেশনে থাকা মানে কেবল ডাক্তারি পরিভাষাতেই জীবিত প্রমোদবাবু। এই ঘটনায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ অসম প্রদেশ সিপিআই। |
অসমের প্রাক্তন জলসম্পদমন্ত্রী (১৯৯৬-২০০১) সিপিআইয়ের প্রবীণ নেতা তথা এআইটিইউসি-র সর্বভারতীয় সভাপতি ৮২ বছরের প্রমোদ গগৈ পটনা পার্টি কংগ্রেস থেকে ফিরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে জিএনআরসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দলের মুখপাত্র ডিম্বেশ্বর কলিতা জানান, গত কাল রাতে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। আজ সকালে কোমায় চলে যান তিনি। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। রাজ্য সিপিআইয়ের তরফে প্রমোদবাবুর শারীরিক অবস্থা জানিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যেই দিল্লিতে সিপিআইয়ের কেন্দ্রীয় দফতরের ওয়েবসাইটে প্রমোদবাবুকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়। দলের রাজ্য সম্পাদক ভোগেশ্বর দত্ত বলেন, “বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। দিল্লির দফতর কোথা থেকে খবর পেল জানি না। যে মানুষটি দীর্ঘ প্রায় সাত দশক ধরে বাম রাজনীতির স্তম্ভ তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিবৃতি প্রকাশে অনেক বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। কী করে এমন সংবাদ পরিবেশিত হল তার খোঁজ নেব।”
অবশ্য দিল্লির দফতরের অনুশোচনা প্রকাশ করা তো দূরে থাক, উল্টে যুক্তি, অসমের রাজ্য নেতারাই এই খবর দিয়েছেন। সঙ্গে সাফাই, “ভেন্টিলেশনে থাকা মানে তো ডাক্তারি পরিভাষাতেই কেবল জীবিত।” কেন্দ্রীয় দফতরের সচিব, ক্ষেত্র পাণ্ডা বলেন, “দফতর থেকে বারবার অসমের নেতাদের ফোন করা হয়েছে। ওদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এটি লেখা হয়েছে।” |