দাবি বাণিজ্য পর্ষদ ফেরানোর |
রফতানির ক্ষতি করবে প্রবেশ কর: ইইপিসি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রফতানি শিল্পের স্বার্থে রাজ্য সরকারের কাছে প্রবেশ কর তুলে নেওয়ার আর্জি জানাল ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল (ইইপিসি)। শুধু তাই নয়, এই ক্ষেত্রের উন্নতির লক্ষ্যে আরও বেশ কিছু বিষয়ে উদ্যোগী হতেও রাজ্যের কাছে দরবার করেছে তারা।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় ইইপিসি-র এক সভায় সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুপম শাহ অভিযোগ করেন, রফতানির জন্য তৈরি পণ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে প্রবেশ কর। কারণ, পণ্য তৈরির সময় যে কাঁচামাল অন্য রাজ্য থেকে আনতে হয়, তার উপর এই কর বসায় পণ্যটির দাম বাড়ে। অনুপমবাবু বলেন, “এ বার রাজ্য বাজেটে ফের প্রবেশ কর বসানোর কথা বলা হয়েছে। তা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদের সংগঠন রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছে।”
রফতানিকারীদের উৎসাহ দিতে কিছু পণ্যকে ‘শিডিউল-ওয়ান’ তালিকাভুক্ত করার দাবিও জানিয়েছে তারা। উল্লেখ্য, ওই তালিকায় থাকা পণ্যের জন্য যুক্তমূল্য কর (ভ্যাট) দিতে হয় না।
অন্য দিকে, রাজ্য সরকার ও রফতানিকারীদের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করার জন্য ‘বোর্ড অফ ট্রেড’ বা বাণিজ্য পর্ষদ আবার তৈরি করার দাবিও এ দিন জানিয়েছে ইইপিসি। অনুপমবাবু জানান, আগে রাজ্যে ওই ধরনের পর্ষদ ছিল। রফতানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিল, ফিও, এক্সিম ব্যাঙ্ক, কলকাতা বন্দর, ইসিজিসি ইত্যাদির কর্তৃপক্ষ এর সদস্য ছিলেন। ওই বোর্ডই রফতানিকারীদের সমস্যা জেনে রফতানি নীতি তৈরির ব্যাপারে রাজ্যকে সুপারিশ করত। তবে ক’বছর আগে বাম সরকারের জমানাতেই বোর্ডটি তুলে দেওয়া হয়। এখন রাজ্য ফের এটি গড়লে রফতানিকারীরা ‘এক জানলা’ পরিষেবার সুযোগ পাবেন বলে মম্তব্য অনুপমবাবুর।
ইইপিসির পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান এ কে গারোদিয়া জানান, ২০১১-’১২ সালের প্রথম ১০ মাসে ভারতের রফতানি আগের বছর একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৩.৪৭%। প্রথম ন’মাসে ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রফতানি হয়েছে ৪,৫৫০ কোটি ডলার। প্রসঙ্গত, পূর্বাঞ্চল থেকে রফতানি করা ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের ৮০ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গ থেকে হয় বলে এ দিন জানিয়েছেন গারোদিয়া। সারা দেশের ক্ষেত্রে ওই পণ্যের ১৬ শতাংশই হয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, ঝাড়খন্ড থেকে। |