ব্লক অফিসটি সগড়ভাঙা থেকে লাউদোহায় উঠে গিয়েছে অনেক আগেই। বছর দু’য়েক আগে সিটি সেন্টার থেকে সরানো হয়েছে কৃষি দফতরও। বাকি ছিল শুধু প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর। তাদেরও সরে যাওয়ার সরকারি নির্দেশিকা এসে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার অফিসের সমস্ত সামগ্রী সরিয়ে নিয়ে যেতে গেলে সগড়ভাঙায় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন দফতরের আধিকারিক ও চিকিৎসকেরা। পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অফিসের সমস্ত সামগ্রী নিয়ে যেতে সমর্থ হন আধিকারিকেরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লক অফিসটি ছিল সগড়ভাঙায়। কিন্তু দুর্গাপুর-ফরিদপুরের বাসিন্দাদের সেখানে কাজ করতে অসুবিধা হত। তাঁরা ব্লক অফিসটি লাউদোহায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত প্রশাসন ব্লক অফিসটিকে লাউদোহায় পঞ্চায়েত সমিতির পুরনো বাড়িতে স্থানান্তরিত করে। পরের দিকে প্রশাসন লাউদোহায় নতুন ভবন তৈরি করে দেয়। সেই বাড়িতে ব্লক অফিস-সহ অন্য দফতর উঠে যায়। ব্লক কৃষি দফতরের অফিস ছিল সিটি সেন্টারে। বাসিন্দাদের দাবি মেনে সেটিও বছর দু’য়েক আগে লাউদোহায় চলে যায়। কিন্তু সগড়ভাঙায় রয়ে যায় প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের অফিসটি। সম্প্রতি সেই অফিসটি লাউদোহায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সরকারি নির্দেশিকা চলে আসে। বৃহস্পতিবার দফতরের আধিকারিক ও চিকিৎসকেরা গিয়েছিলেন অফিসের সামগ্রী লরি বোঝাই করে লাউদোহায় নিয়ে যেতে। কিন্তু বাধা দেন বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, সগড়ভাঙা, গোপীনাথপুর, শ্যামপুর, ন’ডিহা, খাটপুকুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন সেখানে তাঁদের হাঁস, মুরগি ও গৃহপালিত পশুর চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু অফিসটি চলে গেলে তাঁরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। বস্তুত বিনা চিকিৎসায় মারা পড়বে তাঁদের পোষ্যেরা। খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ ঘটনাস্তলে যায়। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসে গড়ে প্রায় হাজার পশু-পাখির চিকিৎসা বা টিকাকরণ করা হতো এখানে। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত মেনেই তাঁরা অফিসটি লাউদোহায় স্থানান্তরিত করছিলেন বলে জানান প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের ব্লক আধিকারিক দেবাশিস বিশ্বাস। |