মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সামনেই মালদহের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশা বলে অভিযোগ তুলে কড়া সমালোচনা করলেন উত্তর মালদহের সাংসদ তথা প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর। বুধবার মালদহের বৃন্দাবনী ময়দানে ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনের বরাদ্দে শুরু হয় তিন দিনের স্বাস্থ্যমেলা। সেখানে উত্তর মালদহের সাংসদ অভিযোগ করেন, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর দিক থেকে রাজ্য পিছিয়ে রয়েছে। তার মধ্যে মালদহ পরিকাঠামোর দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, “এ বার শীতে জেলা হাসপাতালে অনেক শিশু মারা গিয়েছে। গোটা জেলায় স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। সচেতনতার অভাবে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দারা হাসপাতালে না গিয়ে চিকিৎসার জন্য ওঝার কাছে যাচ্ছেন। বহু বার বলার পরেও কিছু হয়নি।” হবিবপুর, সামসি, হরিশ্চন্দ্রপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। ওই অনুষ্ঠানে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন কুমার ঝরিয়াত জানান, জেলায় ৫২ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য। জেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে চিকিৎসক তুলে এনে মালদহ সদর হাসপাতালের অভাব মেটানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর চিকিৎসক না-পাঠালে আমাদের কিছুই করার নেই।” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, জেলায় প্রতি ৫ হাজার জনসংখ্যা পিছু একটি করে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছিল। এখন সেখানে উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র পিছু জনসংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। উপ মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক-৩ কিংশুক বিশ্বাস জানান, ন্যাশনাল রুরাল হেলথ মিশনের বরাদ্দে দেশ জুড়ে প্রতিটি সংদস এলাকায় একটি করে জেলা স্বাস্থ্যমেলার হচ্ছে। মালদহে তিনটি এই ধরনের মেলার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৭ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যে চাঁচল ও মোথাবাড়িতে দুটি জেলা স্বাস্থ্যমেলা হয়েছে। এদিন তৃতীয় তথা শেষ জেলা স্বাস্থ্যমেলা শুরু হয়েছে। মেলা চলবে শনিবার পর্যন্ত। উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “স্বাস্থ্যমেলায় প্রতিদিন নানা ধরনের স্বাস্থ্য বিষয়ক আলোচনা, বিনা মূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের ব্যবস্থা হয়েছে।” |