হাসপাতালের খাবারের মান নিয়ে আগেও অভিযোগ উঠেছে কাটোয়ায়। এ বার রোগীর পাত থেকে মিলল মাকড়সা। মহকুমা হাসপাতালের শিশু বিভাগে এই ঘটনার পরে রোগীর বাড়ির লোকজন মহকুমাশাসক ও হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ জানান।
এই হাসপাতালের পুরুষ ও মহিলা বিভাগে খাবারের মান নিয়ে আগেও অভিযোগ উঠেছে। কয়েক মাস আগে রাজ্যের তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিকর্তা শ্যামাপদ বসাক হাসপাতালে এলে চিকিৎসকদের একাংশও নিম্নমানের খাবার নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে শিশু বিভাগে রোগীদের ভাত, ডাল, সব্জি ও মাছ দেওয়া হয়। অভিযোগকারিণী ময়না বিবি, শিউলি মাঝিদের অভিযোগ, “আমাদের বাচ্চারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুপুরের খাবার খাওয়ানোর সময়ে মাকড়সা দেখতে পাই। ওই খাবার খেলে তো শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ত।” এ নিয়ে ওই বিভাগে হইচই শুরু হয়। সরব হন নার্স ও অন্য কর্মীরাও। রোগীদের আত্মীয়েরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে খাবার দেওয়ার সময়ে ঠিকাদারের অবহেলার অভিযোগ তুলে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন।
হাসপাতালের সুপার সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ডায়েট কমিটিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” অভিযোগ পাওয়ার পরে বুধবার রান্নাঘর পরিদর্শন করেন সুপার। তবে তাঁর দাবি, কোনও অপরিচ্ছন্নতা চোখে পড়েনি। হাসপাতালে খাবার সরবরাহে নিযুক্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মাছের ওজন থেকে চালের মান, নানা বিষয় নিয়েই বারবার অভিযোগ উঠেছে। এ বার রোগীর পাতে মাকড়সা মেলার অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠিকাদার শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হচ্ছে।” |