প্রসব ছাড়া বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে অন্য অস্ত্রোপচারের হার কেন বাড়ছে না তা খতিয়ে দেখছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। রোগীদের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে জেলাশাসক দুর্গাদাস গোস্বামীর কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ জমা পড়ায় ওই তদন্ত শুরু হয়েছে। গত ছ’মাসে ওই হাসপাতালে প্রসব ছাড়া অন্যান্য অস্ত্রোপচারের হার মাসে গড়ে ২০টির বেশি নয়। ওই হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছাড়া অন্যান্য অস্ত্রোপচারের জন্য চার জন শল্য চিকিৎসক রয়েছেন। তাঁরা রোজ একটি করেও অস্ত্রোপচার করেননি বলে অভিযোগ। ঘটনাটি জানতে পেরে মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেব মন্ডলকে ডেকে পাঠান জেলাশাসক। তিনি বলেন, “সুপারকে অস্ত্রোপচারের পরিসংখ্যান লিখিত দিতে বলেছি।” হাসপাতাল সুপার বুদ্ধদেববাবু এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি। বালুরঘাট হাসপাতালে ৬ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার কথা। রয়েছেন ৪ জন। তার মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন। তারা গড়ে সপ্তাহে ২দিন করে ডিউটি করেন বলে অভিযোগ। বহির্বিভাগে গিয়ে টিউমার, পেটে পাথর, ভাঙা পায়ের অস্ত্রোপচারের জন্য রোগীদের শল্য চিকিৎসকের কাছে হত্যে দিতে পড়ে থাকতে হয়। অথচ নার্সিংহোমে গেলে দ্রুত অস্ত্রোপচার হয়ে যায়। বালুরঘাট শহরের কবিতীর্থ স্কুল পাড়ার গরিব বিধবা আরতি ঘোষ গলব্লাডারে পাথর নিয়ে কষ্ট পাচ্ছেন। রোগিণী বহির্বিভাগে শল্য চিকিৎসককে দেখিয়ে অস্ত্রোপচারের জন্য দিনের পর দিন ঘুরছেন বলে অভিযোগ। আরতি দেবীর ছেলে অজয়বাবু বলেন, “চিকিৎসককে ফেব্রুয়ারি মাসে দেখানো হলে অস্ত্রোপচারের জন্য অগস্ট মাসে যেতে বলেছেন। সুপারকে গিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি।” কাজ না হওয়ায় অজয় শেষমেশ মঙ্গলবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন। টানা ছ’মাস পর অপারেশনের দিন দেওয়ার ঘটনার কথা শুনে জেলাশাসক অবাক হন। পা ভাঙা রোগীর অস্ত্রোপচারেঅর্থোপেডিক সার্জেনের টালবাহানার অভিযোগ সামনে এলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই ঘটনায় হাসপাতাল সুপারের লিখিত অনুরোধেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই জেলাশাসক ছ’মাসের অস্ত্রোপচারের পরিসংখ্যান জানতে চেয়ে হাসপাতাল সুপারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন। |