ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির চার সদস্যের মধ্যে তিন জন জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তা হলে চতুর্থ জনকে কেন এখনও আটক রাখার প্রয়োজন হচ্ছে, বুধবার সেই প্রশ্ন উঠল উঠল কলকাতা হাইকোর্টে।
৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে ওই হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। সেই ঘটনায় আমরির অধিকাংশ কর্তাকেই গ্রেফতার করা হয়। তিন কর্তা এখনও ফেরার। তাঁরা হাসপাতালের বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সের সদস্য হলেও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নন। ম্যানেজিং কমিটির তিন সদস্য ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গেলেও চতুর্থ সদস্য শ্রবণ তোদি জেল-হাজতেই আছেন। এ দিন হাইকোর্টে বিচারপতি অসীম রায় ও অসীম রায়ের (দু’জনের একই নাম) ডিভিশন বেঞ্চে শ্রবণ তোদির জামিনের আবেদনের শুনানির সময় তাঁর আইনজীবী রঞ্জিত কুমার প্রশ্ন তোলেন, তাঁর মক্কেলকে জামিন দিতে অসুবিধা কোথায়? তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই এই মামলার চার্জশিট জমা পড়েছে। বোর্ড-কর্তাদের মধ্যে সাত জন জামিন পেয়ে গিয়েছেন। জামিন পেয়েছেন হাসপাতালের ম্যানেজিং কমিটির তিন সদস্যও। তাই তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদনটিকেও একই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখার আর্জি জানান ওই আইনজীবী। শ্রবণ যে ১১৫ দিনেরও বেশি জেল-হাজতে আছেন, সে-দিকে বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দিল্লি থেকে আসা রঞ্জিত কুমার। সরকারের পক্ষে পিপি দেবাশিস রায় জামিনের বিরোধিতা করেন। দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে এ দিন মামলার শুনানি শেষ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এ দিন রায় দেননি বিচারপতিরা। আমরির পরিচালন বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে শ্রবণ ছাড়াও জেলে রয়েছেন দয়ানন্দ অগ্রবাল। আমরি হাসপাতালের অন্য কর্তাদের মধ্যে সত্যব্রত উপাধ্যায় এবং পৃথা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জামিন পেয়ে গিয়েছেন। জামিন পাননি সাজিদ হোসেন এবং সঞ্জীব পাল।7 |