নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এ সংখ্যালঘুদের জন্য এ বার সংরক্ষণের দাবি তুলল ‘হাজি মহম্মদ মহসিন মুসলিম উন্নয়ন সমিতি’।
জিটিএ-তে মোট আসন ৫০। ৪৫ জন নির্বাচিত হবেন। পাঁচ জনকে মনোনীত করবেন রাজ্যপাল। বুধবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে ‘মুসলিম উন্নয়ন সমিতি’র দার্জিলিং জেলা কমিটির সম্পাদক নাসির আহমেদ বলেন, “সংখ্যালঘু সমাজে ওবিসি তালিকাভুক্ত বাসিন্দাদের জন্য চাকরিতে ১০% আসন সংরক্ষণ কার্যকর করছে বর্তমান রাজ্য সরকার। মাদ্রাসা, মসজিদের ইমামদের ফি মাসে ‘সাম্মানিক’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা মাথায় রেখেই আমাদের আর্জি, জিটিএ-র কিছু আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত করতে হবে।” তাঁর দাবি, “মাদ্রাসা, মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেম, শিক্ষকদের বেতনও জিটিএ-এর কাছ থেকে মেলার নিশ্চয়তা চাই। তা হলে আমরা জিটিএ গঠনকে সমর্থন করব, না হলে বিরোধিতার কথা ভাবব।”
জিটিএ-তে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণের প্রশ্নে আগামী ৮ এপ্রিল শিলিগুড়ি বাঘা যতীন পার্কে জনসভায় বিশদে কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হবে বলেও ‘মুসলিম উন্নয়ন সমিতি’ জানিয়েছে। ছাপানো লিফলেটে তাদের দাবি, সভায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব থাকবেন। মন্ত্রী সংগঠনের প্রতিনিধিদের আলোচনায় বসারও আহ্বান করেছেন। মন্ত্রী বলেন, “সমিতির কর্মকর্তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।” গৌতমবাবু জানান, আজ, বৃহস্পতিবার ওই সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। ‘মুসলিম উন্নয়ন সমিতি’র সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাও। মোর্চার প্রচার সচিব হরকা বাহাদুর ছেত্রী বলেন, “পাহাড়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরাও রয়েছে। তাঁরা যাতে পিছিয়ে না থাকেন তা আমরা নিশ্চয়ই দেখব। তবে তাঁরা কী চাইছেন, সে সব নিয়ে বিশদে কথা বলা প্রয়োজন। ওঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আমরা আগ্রহী।” |