নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের তদন্তকারী দল। সরকারি সূত্রের খবর, অনিয়মের অভিযোগে নবনিযুক্ত যে ৪২৩ জন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছিল তাঁদের মাধ্যমিক পরীক্ষার নম্বর, আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া বিভিন্ন নথি মূলত কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। স্কুল দফতরের তৈরি বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে ওই নথিপত্র জমা দেওয়া হবে। ২০১০ সালে জলপাইগুড়িতে প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের ঘটনার চূড়ান্ত পর্যায়ের তদন্ত করতে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের তিন সদস্যের একটি দল বুধবার জলপাইগুড়িতে এসে পৌঁছান॥
আজ, বৃহস্পতিবার সংসদের আরও বেশকিছু নথি খতিয়ে দেখে দলটি কলকাতায় রওনা দেবে। তদন্তকারী দলের সদস্য উপ অধিকর্তা অভিজিৎ সাহা বলেন, “২০১০ সালে জেলায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের যে পরীক্ষা হয়েছিল তার বিষয়ে কিছু নথিপত্র দেখতে আমরা জলপাইগুড়িতে এসেছি। |
বেশ কিছু নথি আমরা কলকাতায় নিয়ে গিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে জমা দেব। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।” এদিন তদন্তকারী দলটির কাছে তৃণমূলের তরফে অনিয়মের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি জানানো হয়। সংগঠনের শহর ব্লক সভাপতি বুবাই কর বলেন, “শুধু নবনিযুক্ত শিক্ষকশিক্ষিকা কেন? নিয়োগের ঘটনায় অনেক আধিকারিক ও কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।” তদন্তকারী দলটির থাকার ব্যবস্থা নিয়ে আবার বির্তক দেখা দিয়েছে। সরকারি সূত্রের খবর, সার্কিট হাউস বা সরকারি অতিথিশালার পরিবর্তে একটি বিলাসবহুল হোটেলের দুটি ঘর ভাড়া করে তদন্তকারী দলটিকে রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কয়েকজন অফিসার জানান, রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর প্রতিনিধি দলের সমস্ত খরচ সর্বশিক্ষা মিশনের জেলা দফতরকে বহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিশনের জেলা আধিকারিক অলোক মহাপাত্র বলেন, “গত সোমবার সন্ধ্যায় চিঠি পাই। তাই তখন আর সরকারি অতিথিশালা বুক করা যায়নি।” |