স্মারকলিপি দেওয়া নিয়ে তর্ক, উত্তেজনা
স্মারকলিপি দেওয়ার সময়ে কজন থাকবেন, তা নিয়ে এসডিও এবং ইনটাক সভাপতির মধ্যে তর্কাতর্কির জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি মহকুমার প্রশাসনের সদর কার্যালয়। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। বেশ কিছুক্ষণ বাদানুবাদ চলার সময়ে কখনও এসডিও-কে আঙুল তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায়। আবার কখনও ইনটাক সভাপতি অলক চক্রবর্তীকে দেখা যায়, এসডিও-এর দিকে আঙুল তুলে চিৎকার করছেন। পরে এসডিও-র নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সংখ্যক ইনটাক কর্মীরা ছাড়া বাকিরা বাইরে বার হন। পক্ষান্তরে, এসডিও-র দেহরক্ষী ইনটাক কর্মীদের কয়েকজনকে বাইরে বার হওয়ার নির্দেশ দিয়ে ঠিক করেননি বলে প্রশাসনের পক্ষে স্বীকার করা হয়। তার পরেই পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। ঘটনার সূত্রপাত জিটিএ-এর বিরোধিতায় শিলিগুড়ির এসডিও বৈভব শ্রীবাস্তবের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠানো বিষয়ক স্মারকলিপি দেওয়া নিয়ে। এসডিও সময় দেওয়ার সময়েই জানিয়ে দেন, স্মারকলিপি দেওয়ার সময়ে ৫ জন থাকতে পারবেন।
মহকুশাসককে আইএনটিইউসির স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উত্তেজনা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
তা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট সময়ে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ১০-১৫ জনকে নিয়ে এসডিও-র ঘরে ঢুকে পড়েন ইনটাক-এর দার্জিলিং জেলা সভাপতি অলক চক্রবর্তী। তখনই তা নিয়ে আপত্তি জানান এসডিও। অলকবাবুর অভিযোগ, ওই সময়ে মহকুমাশাসকের নিরাপত্তা রক্ষী তাঁদের কয়েকজন সদস্যকে বার হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি ওই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তাতে বিরক্ত হন এসডিও। উভয়পক্ষের মদ্যে বচসা শুরু হয়। দু’পক্ষই আঙুল উঁচিয়ে চিৎকার করতে থাকলে অফিসে হইচই পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ইনটাকের বাড়তি লোকজন বার হয়ে গেলে পরিস্থিতি ঠিক হয়। আইএনটিইউসি সভাপতি বলেন, “স্মারকলিপি দেওয়ার সময়ে কজন থাকব তা এসডিও বলতেই পারেন। বেশি লোক হলে বার হওয়ার জন্যও উনি বলবেন। তা বলে ওঁর নিরাপত্তা রক্ষী আমাদের বার হওয়ার নির্দেশ দেবেন কেন? আমি তার প্রতিবাদ করেছি। মহকুমাশাসক নিরাপত্তা রক্ষীর হয়ে সওয়াল করেছেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য আমাদের বাড়কি লোক বেরিয়ে গিয়েছেন। প্রশাসনও নিরাপত্তা রক্ষীর বলাটা ঠিক হয়নি বলে মেনে নিয়েছে। সমস্যা মিটে গিয়েছে।” এই ব্যাপারে এসডিও বলেন, “নিরাপত্তার রক্ষীর মাধ্যমে আইএনটিইউসি’র পাঁচজন নেতাকে দফতরে ঢোকার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু ১০-১৫ জন লোক ঢুকে পড়েন। নিরাপত্তা রক্ষী আমার নির্দেশই পালন করেছিলেন। যাই হোক, বিষয়টি মিটে গিয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো স্মারকলিপিতে আইএনটিইউসি’র পক্ষ থেকে এদিন জিটিএতে মৌজা অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি স্থগিত রাখার দাবি জানানো হয়। কংগ্রেসের ওই শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগ, চুক্তিতে নানা ‘আপত্তিকর’ বিষয় রয়েছে। প্রকারান্তরে গোর্খাল্যান্ডের দাবি মেনে নেওয়া ছাড়াও তরাই ও ডুয়ার্সের মৌজা অন্তর্ভুক্তির যৌক্তিকতাও মেনে নেওয়া হয়েছে। আইএনটিইউসি’র দার্জিলিং জেলা সভাপতি বলেন, “যেভাবে চুক্তি হয়েছে তাতে আপাতত মৌজা অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি স্থগিত রাখাই উচিত। না-হলে অশান্তি বাড়বে। মুখ্যমন্ত্রীর উপরে আমাদের ভরসা রয়েছে। সেজন্যই স্মারকলিপি দিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.