গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ২৩টি খুনের মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বনগাঁর এসডিপিও জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বুধবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার কুড়ুলিয়া থেকে বাংলাদেশি ওই দুষ্কৃতীকে ধরা হয়। ধৃত প্রদীপ ওরফে শৈলেন বিশ্বাসের কাছ থেকে একটি আমেরিকান পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, “বাংলাদেশি ওই দুষ্কৃতীকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তেতাল্লিশের শৈলেনের আসল বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার সালুয়া-রংপুর এলাকায়। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশেই খুন, তোলাবাজি-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। প্রায় ২৫ টি খুনের মামলা ঝুলছে তার বিরুদ্ধে। তার মধ্যে দু’টিতে তার ১০ বছরের করে কারাদণ্ডও হয়েছে। কয়েক বছর ধরেই সে এ দেশে আত্মগোপন করেছিল। মধ্যমগ্রাম থেকে বিরাটি এলাকার মধ্যে থাকত। এখান থেকেই সে বাংলাদেশে তার দলবল চালাত। কিছুদিন আগে সে কুড়ুলিয়া গ্রামে বাড়ি করে। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বনগাঁ থানার রামচন্দ্রপুরের বাসিন্দা সুভাষ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে শৈলেন ও তার দলবল খুন করে বলে অভিযোগ। সেই সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে। তার পর সে জামিনে মুক্ত ছিল।
পুলিশের দাবি, জামিনে ছাড়া থাকা অবস্থাতেই শৈলেন সুভাষ বিশ্বাস খুনের মামলার মূল সাক্ষী রঞ্জিৎ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে খুন করার পরিকল্পনা করে। তার জন্য আগ্নেয়াস্ত্রও সংগ্রহ করেছিল সে। এ ছাড়া সে ফের এখানে দলবল তৈরির চেষ্টায় ছিল। এর পরেই পুলিশ তার খোঁজ করতে থাকে। |