|
|
|
|
বেলপাহাড়িতে তলবি সভা আজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
সিপিএম পরিচালিত বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হাড়িরাম সিংহের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ড পার্টির আনা অনাস্থার ‘তলবি সভা’ হবে আজ, বৃহস্পতিবার। প্রশাসনের তরফে তলবি সভায় পৌরোহিত্য করবেন বেলপাহাড়ির বিডিও সর্বোদয় সাহা। সিপিএমের দাবি, অনাস্থা আনলেও সভাপতিকে অপসারণ করতে যত জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন, তা ঝাড়খণ্ডীদের নেই। তা ছাড়া, ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর তরফে অনাস্থা আনা হলেও বিরোধী সদস্যদের সিংহভাগ নরেন গোষ্ঠীর নন। ভুল বুঝিয়ে তাঁদের অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করানো হয়েছে বলেও সিপিএমের অভিযোগ। অনাস্থা আনার নেপথ্যে রাজ্যের বর্তমান শাসক-দলের ভূমিকা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তবে দলের স্থানীয় নেতারা প্রকাশ্যে কেউই এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
২০০৮ সাল পর্যন্ত এই পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতায় ছিল ঝাড়খণ্ডী-জোট। সর্বশেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষমতা-দখল করে সিপিএম। শুরুতে ২৬টি আসন-বিশিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএম-সদস্য ছিলেন ১৪ জন, ঝাড়খণ্ডী সদস্য ছিলেন ১২ জন। পরে মাওবাদীদের হাতে সিপিএমের ২ জন ও এক ঝাড়খণ্ডী সদস্য খুন হন। আসন-বিন্যাস দাঁড়িয়েছে, সিপিএম ১২ এবং ঝাড়খণ্ডী ১১।
গত ২০ মার্চ পঞ্চায়েত সমিতির ৯ জন ঝাড়খণ্ডী সদস্য সভাপতির বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রামের মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত ভাবে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে তলবি সভা ডাকতে হয়। সংখ্যাতত্ত্ব বলছে, অনাস্থায় সভাপতিকে অপসারণ করার মতো সদস্য-সমর্থন জোগাড় করাটা ঝাড়খণ্ডীদের পক্ষে সহজ নয়। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, কয়েক মাস আগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়ক-পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে সিপিএমের একটি অংশের মধ্যেই ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দেয়। সরব হয় বিরোধীরাও। যার ফলে সভাপতি হাড়িরামবাবু মাস দু’য়েক আগে বীতশ্রদ্ধ হয়ে বলেছিলেন, “কাউকেই যখন সন্তুষ্ট করতে পারিনি, তখন আমার সরে যাওয়াই ভাল।” রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সিপিএমের একটি বিক্ষুব্ধ অংশের ভরসায় হাড়িরামবাবুকে অপসারণ করতে ময়দানে নেমে পড়েছে ঝাড়খণ্ডীদের একটি অংশ। আবার হাড়িরামবাবুকে ‘বাঁচাতে’ রণকৌশল স্থির করতে গত কয়েক দিন ধরেই বেলপাহাড়িতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন সিপিএম নেতৃত্বও। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, এখন অন্য কথা বলছেন হাড়িরামবাবুও। বুধবার তিনি বলেন, “দেখাই যাক, কী হয়।” ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)-এর নেত্রী চুনিবালা হাঁসদার দাবি, “কাউকেই জোর করে অনাস্থা-প্রস্তাবে স্বাক্ষর করানো হয়নি। পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী সদস্যরা প্রথম থেকেই আমাদের দলের। কারও মদতে অনাস্থা আনিনি। দুর্নীতির কারণে পঞ্চায়েত সমিতিতে সিপিএমেরই গোষ্ঠী বিভাজন হয়েছে।” |
|
|
|
|
|