|
|
|
|
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় |
কোর্টের বৈঠকে পাশ হল বাজেট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম কোর্টের প্রথম বৈঠক হল বুধবার। বৈঠকে এমবিএ-কে পূর্ণ বিভাগের মর্যাদা দেওয়া হল। এতদিন এই বিভাগটি ছিল বাণিজ্য বিভাগের অন্তর্গত। এ দিনের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশ করা বাজেটও পাশ হয়ে গিয়েছে। এখনও কোর্ট ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের প্রতিনিধি নির্বাচন হয় নি। সেই নির্বাচন প্রক্রিয়া চালুর জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে প্রথম কোর্ট হওয়ায় এ দিন দীর্ঘ আলোচনার সুযোগ ছিল না। পরবর্তী বৈঠকগুলিতে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, “প্রথা মেনেই সপ্তম কোর্টের প্রথম বৈঠক বসেছিল বুধবার। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে ভবিষ্যতে আরও অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
রীতি অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের চেয়ারম্যান হন আচার্য তথা রাজ্যপাল। তিনিই কোর্ট বসান। সেই মতো আচার্যকে কোর্ট বসানোর জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি ব্যস্ত থাকায় উপাচার্যকে কোর্ট বসানোর অনুমতিও দেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্টের সদস্য ৬৬ জন। তার মধ্যে ৫৬ জনই মনোনীত। ১০ জন নির্বাচিত। ৫৬ জনের মধ্যে বেশিরভাগ মনোনীত সদস্যই পেয়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এ দিনের বৈঠকে কোর্টের সদস্য হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ভারতী রায়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক হরি বাসুদেবন, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অরুণোদয় সাহা, উচ্চ শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন সুব্রত রায়, উচ্চ শিক্ষা দফতরের জয়েন্ট সেক্রেটারি ইউএস মণ্ডল-সহ অনেকেই। আগে থেকেই এমবিএ বিভাগকে পূর্ণ বিভাগের মর্যাদা দেওয়ার জন্য দাবি উঠেছিল। সেই মতো প্রস্তাব তৈরি করা ছিল। এক্সিকিউটিভ কমিটি সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছিল। এ বার তাকে মান্যতা দিন কোর্ট। রাজ্য সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় যে বাজেট পেশ করেছিল সেই বাজেটও পাশ হল কোর্টে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট ও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। ২০১১ সালে তাই সমাবর্তন অনুষ্ঠান পর্যন্ত করা যায়নি। ফলে ডিগ্রিও প্রদান করা যায়নি। এ বার সমাবর্তন অনুষ্ঠান করার পাশাপাশি অন্যান্য সিদ্ধান্ত দ্রুত নেওয়া হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কমিটি যাবতীয় কাজের সিদ্ধান্ত নেয় আর তাতে অনুমোদনের সিলমোহর দেয়। এ বার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালাতে আর তেমন কোনও অসুবিধে হবে না বলেই কর্তৃপক্ষের অভিমত। |
|
|
|
|
|