|
|
|
|
‘উন্নয়নের নামে খেলা আর মেলা’,
তৃণমূলকে তোপ ঝাড়খণ্ডী নেত্রীর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, তোলাবাজি ও অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে জঙ্গলমহলে পথে নামল ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)। সেই সঙ্গে, উন্নয়নের প্রশ্নেও রাজ্য সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা ঝাড়খণ্ডী নেত্রী চুনিবালা হাঁসদা। তাঁর বক্তব্য, “জঙ্গলমহলের দরিদ্র আদিবাসী-মূলবাসীদের অবস্থার কোনও পরিবর্তন নেই। উন্নয়নের নামে কেবল নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে খেলা আর মেলা হচ্ছে!” ঝাড়গ্রামকে পৃথক জেলা করার উদ্যোগ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ঝাড়খণ্ডী নেত্রী। তিনি বলেন, “ঝাড়গ্রাম জেলা গঠনে যে পরিমাণ খরচ হবে, ওই টাকা উন্নয়নের জন্য ব্যয় করলে এলাকার গরিব মানুষ বেশি উপকৃত হবেন।” |
|
বুধবার বিনপুরে ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) মিছিল। ছবি তুলেছেন দেবরাজ ঘোষ। |
রাজ্যে পালাবদলের পর এই প্রথম জঙ্গলমহলে মূলধারার কোনও রাজনৈতিক দল শাসক-শিবিরের বিরুদ্ধে এমন কড়া ভাষায় তোপ দাগল। বুধবার বিকেলে বিনপুরে ‘সন্ত্রাস-বিরোধী মিছিল’ করে ঝাড়খণ্ড পার্টি (নরেন)। দলনেত্রী চুনিবালার হাঁসদার নেতৃত্বে মাগুরা থেকে বিনপুর পর্যন্ত মিছিলে অংশ নেন কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। কাঁকো থেকে আরও কয়েক হাজার মানুষের একটি মিছিল বিনপুরে শেষ হয়। জনগণের কমিটির প্রাক্তন নেতা ভাগবত হাঁসদাও ছিলেন চুনিবালার সঙ্গে মিছিলের পুরোভাগে। চুনিবালার অবশ্য দাবি, আঁধারিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দলীয় সদস্য ভাগবত বরাবর তাঁদের দলেই রয়েছেন।
মিছিল শেষে সন্ধ্যায় বিনপুর শিবমন্দির চকে এক সভায় চুনিবালা অভিযোগ করেন, “ক্ষমতার বদল হলেও শাসকের চরিত্রের বদল হয়নি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরিকল্পিত ভাবে ঝাড়খণ্ডীদের শেষ করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আগে এলাকায় যাঁরা জনগণের কমিটির পরিচয় দিয়ে তোলাবাজি ও সন্ত্রাস করত, সেই সব ‘পরিচিত মুখ’ এখন তৃণমূলে নাম লিখিয়ে একই কাজ করছে। ঝাড়খণ্ডী সমর্থকদের তৃণমূলে যোগ দিতে বলা হচ্ছে। অসম্মত হলেই, পুলিশকে দিয়ে মিথ্যে মামলা সাজাচ্ছে।” তার পরেই উন্নয়ন-প্রশ্নে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন ঝাড়খণ্ডী নেত্রী।
জঙ্গলমহলে সিপিএম-সহ বামেরা এখনও কোণঠাসা। সরকারের অন্যতম শরিক কংগ্রেসও এখনও তেমন সক্রিয় নয়। এ দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। জঙ্গলমহলে বরাবরই পঞ্চায়েতে ঝাড়খণ্ডী দলের প্রভাব থাকে। শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে এখন থেকেই ঝাড়খণ্ডী নেত্রী পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করে দিলেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ অবশ্য ‘আঞ্চলিক দলের নেত্রী’ চুনিবালার রাজনৈতিক কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে চাননি। প্রদ্যোৎবাবু বলেন, “জঙ্গলমহলে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, অথচ চুনিবালা তা দেখতে পাচ্ছেন না। আমাদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি মিথ্যা কথা বলে উনি প্রচার পেতে চাইছেন।” |
|
|
|
|
|