মেসির জোড়া রেকর্ড
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে বার্সেলোনা, বায়ার্ন মিউনিখ
লিয়নেল মেসির জোড়া পেনাল্টিতে ঘরের মাঠে এ সি মিলানকে ৩-১ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে পৌঁছে গেল বার্সেলোনা। তৃতীয় গোলটি গোলটি করেন আন্দ্রে ইনিয়েস্তার। শেষ চারে বার্সেলোনার সামনে খুব সম্ভবত পড়বে চেলসি। যদি না কোয়ার্টার ফাইনালে বেনফিকা কোনও বড় অঘটন ঘটিয়ে দেয়। অন্য দিকে, মিউনিখে মার্সেইকে ২-০ হারিয়ে বায়ার্ন মিউনিখও শেষ চারে। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মান ক্লাবের হয়ে দু’টি গোলই করেন ইভিকা ওলিচ। এই নিয়ে গত তিন বছরে দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল বায়ার্ন।
বার্সেলোনা আবার টানা পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠে চিরশত্রু রিয়াল মাদ্রিদের পুরনো রেকর্ড স্পর্শ করে ফেলল। ১৯৫০-এর দশকে একই ভাবে পর পর পাঁচ বার সেমিফাইনালে উঠেছিল রিয়াল। মেসি নিজে ম্যাচে জোড়া গোল করার পাশে জোড়া রেকর্ডও করে ফেললেন। প্রথমটা সব থেকে কমবয়সী ফুটবলার হিসাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গোলের হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড। মেসির গোলের সংখ্যা আপাতত ৫১। অন্যটা মরসুমে সব থেকে বেশি, ১৪টি গোলের রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এক মরসুমে সবথেকে বেশি, ১২টি গোলের রেকর্ড এর আগে যুগ্ম ভাবে ছিল রুড ফান নিস্তেলরুই এবং মেসির নামে।
গোলের পরে মেসি। ছবি: রয়টার্স।
নিজেদের ঘরের মাঠে মেসিদের পাসিং ফুটবল বেশ সফল ভাবে আটকে দিয়ে ম্যাচ ০-০ ড্র-এ বেঁধে রাখলেও নউ ক্যাম্পে এসে সে ভাবে লড়াই করতে পারল না এ সি মিলান। প্রথমার্ধে তারা কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় বার্সেলোনা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মেসি ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটেই তিনটে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রথম গোলটা এল পেনাল্টি থেকে। লুকা আন্তোনিনি তাঁকে বক্সের মধ্যে ফাউল করায় পেনাল্টি দেন রেফারি। বল জালে ঢোকাতে মেসির ভুল হয়নি। এ সি মিলান অবশ্য গোল শোধ দিয়ে দেয় বেশ দ্রুত। বার্সেলোনার বক্সের সামনে রোবিনহো পাস ধরে জ্লাটান ইব্রিহিমোভিচ বল বাড়ান আন্তোনিও নোসেরিনোকে। এবং গোলরক্ষক ভিক্টর ভালদেসের পাশ দিয়ে বল জালে ঠেলে দেন নোসেরিনো। কিন্তু এর পরে ইতালীয় ক্লাবটি আর বিশেষ সুবিধে করতে পারেনি। হাফ টাইমের আগে আগে আবার পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। বারো গজ থেকে গোলকিপারকে বোকা বানিয়ে উল্টো দিকে লাফাতে বাধ্য করে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে যান মেসি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ইনিয়েস্তার গোলটিতেও মেসির একটা ভূমিকা ছিল। মেসির শট আটকে দেন এ সি মিলানের ডিফেন্ডার ফিলিপে মেক্সেস। কিন্তু গায়ে লেগে বল চলে যায় ইনিয়েস্তার পায়ে। যিনি খুব কাঠ থেকে গোল করায় কোনও ভুল করেননি।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.