নাবালিকাকে ‘অপহরণ’, ধৃত যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • শ্রীরামপুর |
এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। ধৃত যুবকের বাড়ি পুড়শুড়ার হাটি গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বছর পনেরোর ওই কিশোরীর বাড়ি শ্রীরামপুরের কুমিরজলা এলাকায়। গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। প্রথমে পুলিশের কাছে নিখোঁজ-সংক্রান্ত ডায়েরি করেন মেয়েটির বাড়ির লোকজন। পরে পুড়শুড়ার হাটি গ্রামের এক যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। শ্রীরামপুরে একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করতেন যুবকটি। সেই সূত্রেই দু’জনের আলাপ হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল) অমিতাভ বর্মা জানান, সূত্র মারফত খবর পেয়ে এ দিন বাড়ি থেকেই ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেখান থেকেই মেয়েটিকে উদ্ধার করে আনা হয়। বুধবার ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হয়। বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেয় মেয়েটি। |
স্টেশন ম্যানেজারকে নিগ্রহের অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল |
অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ায় চাষিদের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট দফতরের আরামবাগের গৌরহাটির স্টেশন ম্যানেজার। সোমবার খানাকুলের পূর্ব ঠাকুরানিচক গ্রামের ওই ঘটনায় সৌমেন মুহুরি নামে ওই স্টেশন ম্যানেজার ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁরা অবশ্য পলাতক। মঙ্গল এবং বুধবার আরামবাগের বিদ্যুৎ বণ্টন দফতরে জড়ো হয়ে ডিভিশনাল ম্যানেজার চন্দন মণ্ডলের কাছে সেই মামলা তুলে নেওয়ার আবেদন জানালেন গ্রামবাসীরা। চন্দনবাবু বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার গ্রামে মিটার রিডিং নিতে গিয়েছিলেন সৌমেনবাবু। তিনি জানান, নদী থেকে সেচের জন্য পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগকে কাজে লাগিয়ে চাষিরা অন্য সাবমার্সিবেল থেকে জল তুলছেন। তিনি ওই সমস্ত অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেন। এরপরেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। ধাক্কাধাক্কিও হয় বলে অভিযোগ সৌমেনবাবুর। এরপরেই তিনি ৭ জন চাষির বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। অন্য দিকে চাষিদের দাবি, নদী সেচের মাধ্যমে এলাকায় বোরো চাষ হয়। কিন্তু নদীতে জল না থাকায় তাঁরা ওই পাম্প দিয়ে সেচ করতে পারছেন না। জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই বিকল্প সেচ পদ্ধতি হিসেবে ওই পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সাবমার্সিবেল থেকে জল তোলার ব্যবস্থা করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, স্টেশন ম্যানেজার কোনও কথা না শুনেই সংযোগ কেটে দেন। তবে সে জন্য স্টেশন ম্যানজারকে নিগ্রহ করা হয়নি বলে ওই গ্রামবাসীরা দাবি করেছেন। |
খন্যানে দম্পতি খুন, গ্রেফতার মেয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা • খন্যান |
পাণ্ডুয়ার খন্যানে প্রাক্তন সেনাকর্মী ও তাঁর স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল তাঁদের একমাত্র মেয়েকে। পুলিশের দাবি, ‘তথ্য গোপন করার’ অভিযোগে মৌসুমী সরকার নামে ওই যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১৮ মার্চ খন্যানের মুল্টি গ্রামে প্রাক্তন সেনাকর্মী মোহিত সরকার এবং তাঁর স্ত্রী লতাদেবীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তাঁদের মেয়ে মৌসুমীর ‘প্রেমিক’ শেখ মইদুল ইসলাম ওরফে রিপনই ভাড়াটে গুন্ডাদের দিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। সোমবার রাতে ধরা পড়ে রিপন ও রাজেশ বর্মা নামে এক দুষ্কৃতী। তদন্তকারীদের দাবি, মৌসুমীর সঙ্গে রিপনের ‘সম্পর্ক’ মেনে নিতে পারেননি মোহিতবাবু। ঘটনার দিন মোহিতবাবুকে ‘শাসাতে’ রাজেশ-সহ চার ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে যায় রিপন। তর্কাতর্কির সময়ে এক দুষ্কৃতীকে জাপটে ধরে ফেলায় মোহিতবাবুকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রিপনকে ‘চিনে ফেলায়’ খুন হন লতাদেবীও। গত কয়েক দিন ধরে পুলিশ জেরা করে বছর পঁচিশের মৌসুমীকে। পুলিশের দাবি, তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি মিলেছে। মঙ্গলবার ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দিও দেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় ওই যুবতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের অভিযোগে রবীন দাস নামে আর এক ভাড়াটে গুন্ডাকে রিষড়া থেকে ধরেছে পুলিশ। হুগলির এসপি তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, “বাকি দুই দুষ্কৃতীর খোঁজ চলছে।” |
ডাম্পারের ধাক্কায় ছাত্রের মৃত্যু মগরায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মগরা |
ডাম্পারের ধাক্কায় এক স্কুল-ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মগরার কালীতলায় অসম লিঙ্ক রোডে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আশু রায় (১৫)। তার বাড়ি স্থানীয় গজঘণ্টা মাঠপাড়ায়। সে বাগাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ত। এ দিন সন্ধ্যায় কালীতলায় গৃহশিক্ষকের কাছে সে পড়তে গিয়েছিল। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সাইকেলে চেপে বাড়ি ফিরছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে পুলিশ জেনেছে, সে সময়ে ঝড় ওঠায় আশু খুব জোরে সাইকেল চালাচ্ছিল। কালীতলা মোড়ের কাছে সে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। ত্রিবেণীর দিক থেকে মগরার দিকে যাওয়া একটি ডাম্পার পিছন থেকে ছেলেটিকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। ডাম্পারটিকে আটক করেছে পুলিশ। চালক ও খালাসি পলাতক। |
ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট |
এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গোঘাটের কাঁটালি গ্রামের। মৃতের নাম ভুতু মণ্ডল (৩৫)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরে গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। |