নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার ছাড়পত্র ছাড়াই বসানো হয়েছিল ট্রান্সফর্মার। ঘটনাটি আরামবাগের। অভিযুক্ত ঠিকাদার সুব্রত কুণ্ডুর বিরুদ্ধে গত ২৭ মার্চ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বণ্টন সংস্থার আরামবাগ শাখার স্টেশন ম্যানেজার শেখর দে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তকে ধরার চেষ্টা চলছে। ট্রান্সফর্মারটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এ দিকে, এই ঘটনার জেরে ঠিকাদারদের একটি অংশ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগের কাজে গাফিলতি করছেন বলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে কিছু এলাকায়। সময় মতো কাজ না করলে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে বলে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ঠিকাদারদের ‘হুঁশিয়ার’ করেছে বণ্টন সংস্থা। সুব্রতবাবু বলেন, “আমাদের সঙ্গে নানা দুর্ব্যবহার করেন সংস্থার কর্মীরা। পাওনা নিয়ে নানা চালবাহানা করেন তাঁরা। তারই প্রেক্ষিতে কয়েক বার আমরা সংগঠনের তরফে কয়েক বার স্মারকলিপি দিয়েছি। সে জন্যই চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হল।”
বণ্টন সংস্থার আরামবাগ শাখা সূত্রের খবর, স্থানীয় একটি চালকল সম্প্রতি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদন করেছিল। সেই মতো অনুমোদনও দেওয়া হয়। কাজের বরাত পায় ‘মা তারা’ ঠিকাদার সংস্থা। যে ট্রান্সফর্মারটি বসানোর কথা, তা পরীক্ষা করে ছাড়পত্রও দেয় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। প্রসঙ্গত, ট্রান্সফর্মারের কিছু জায়গা ‘সিল’ করা থাকে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ শেষ করার পরে রিপোর্ট দেয়। সেই মতো গত ২৭ মার্চ শেখরবাবু বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে দেখেন, যে ট্রান্সফর্মারটি বসানো হয়েছে, সেটির কোনও ছাড়পত্র নেই। ওই রাতেই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু সংস্থার পরীক্ষা করা ট্রান্সফর্মারটি গেল কোথায়? এ ব্যাপারে সংস্থার কর্তারা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার সংগঠনের আরামবাগ মহকুমা সম্পাদক বিমল ভট্টাচার্য বলেন, “এত কড়া পদক্ষেপ না করলেই ভাল হত। অনেক সময়ে অর্ডার বহির্ভূত অনেক কাজই আমাদের করতে হয়। পরে অর্ডার দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও ট্রান্সফর্মারটি পরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়া যেতেই পারত।” বণ্টন সংস্থার আরামবাগ শাখা সূত্রে জানানো হয়েছে, উপযুক্ত পদক্ষেপই করা হয়েছে। পরীক্ষা না করা ওই ট্রান্সফর্মারে সংযোগ দিলে সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তাদের চাকরি নিয়েও টানাটানি পড়ত। |