দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে সকাল থেকে ভারী বর্ষণে খানিকটা স্বস্তি পেল অসমের ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা। তবে বজ্রপাত ও ঝড়ের দাপটে মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। একই রাজ্যের বরাক উপত্যকায় কিন্তু চৈত্রের শেষার্ধেও বৃষ্টির দেখা নেই। আউস চাষের প্রস্তুতিই শুরু করতে পারেননি কৃষকেরা। ফলে ফসল মার খাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা।
পুলিশ জানায়, গোয়ালপাড়া জেলায় আজ সকালে বাজ পড়ে মারা গিয়েছে নবম শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা রায়। তার বাড়ি দুধনৈ থানা এলাকার গোয়াবাড়িতে। ধূপধারার ধনুভাঙা এলাকাতেও বজ্রপাতে মৃত্যু ঘটেছে আকাশদীপ রাভা নামে এক ব্যক্তির। জখম হয়েছেন আকাশদীপের স্ত্রী সুনীতা রাভা-সহ দুইজন। দক্ষিণ কামরূপ জেলার রামপুরে দুর্যোগে মারা গিয়েছেন প্রফুল্ল কলিতা। এ ছাড়া মরিগাঁওয়ে ট্রান্সফর্মার ভেঙে পড়ে মীনা দাস ও বন্দনা দাস নামে দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। উদালগুড়ির ডিমাকুচিতে, ধীরাজ মুন্ডা ও পাপু মন্ডা নামে দুই যুবকও বজ্রপাতের শিকার।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য আজ গুয়াহাটি থেকে ডিব্রুগড়গামী জেটলাইটের বিমান ডিব্রুগড়ের মোনাবাড়ি বিমানবন্দরে নামতে না পেরে গুয়াহাটি ফিরে আসে। বেলা পৌনে দু’টোয় বিমানটি মোনাবাড়ির আকাশে পৌঁছয়। কিন্তু প্রবল বর্ষণের কারণে এটিসি বিমানটিকে অবতরণের অনুমতি দেয়নি।
অন্য দিকে, এখনও বৃষ্টিহীন বরাক উপত্যকা। কাছাড় জেলা পরিষদের সদস্য রেজামন্দ আলির কথায়, এমন অবস্থা টানা চললে আউসের ফলন মার খাবেই। শাকসব্জির আকাল দেখা দেবে। কৃষি বিশেষজ্ঞ সুব্রত ভট্টাচার্য জানান, এ সময় অধিকাংশ জায়গায় আউস চাষের জন্য জমি তৈরি হয়ে যায়। এ বার খেত ফুটিফাটা। ফলে বীজতলা তৈরি ও চারা রোপণ সবই পিছিয়ে যাচ্ছে। |