ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভার দু’টি আসনের ভোট বাতিল করার প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামলেন রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ বালমুচু। উল্লেখ্য, বাতিল হওয়া রাজ্যসভার নির্বাচনে প্রদীপবাবু ছিলেন দলীয় প্রার্থী।
সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ড কংগ্রেস সভাপতির এই আইনি লড়াইয়ে কি দলের হাইকমান্ডের সমর্থন আছে? প্রদীপবাবুর জবাব, “নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করেছি রাজ্যসভার একজন প্রার্থী হিসাবে। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে নয়।”
ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভার নির্বাচনকে ঘিরে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তো আছেই। এমনকী ভোটের দিন সকালে রাঁচি শহরের কাছে রাজ্যসভার এক নির্দল প্রার্থীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া ভোটের গোপনীয়তা ভাঙার অভিযোগও রয়েছে তিন বিধায়কের বিরুদ্ধে। এই সব ঘটনার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির কাছে ঝাড়খণ্ডে রাজ্যসভার দু’টি আসনের ভোট বাতিলের সুপারিশ করে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের সুপারিশে রাষ্ট্রপতি ভবনের সিলমোহর লেগে ভোট বাতিল হয়।
রাজ্যসভার প্রার্থী তথা রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ বালমচু বলেন, “সংবিধানের ৩২৪ ধারা মোতাবেক নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ভোট বাতিল করতে পারে না। আংশিক ভাবে কোথাও পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারে। কিংবা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন, দুর্নীতির দায়ে কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে।”
এ বিষয়ে প্রদীপবাবুর বক্তব্য, উদ্ধার হওয়ার টাকার সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক এখনও প্রমাণিত হয়নি। তাই টাকা উদ্ধারের সঙ্গে ভোট বাতিলের যোগসূত্র নেই।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের হাতে রইল তিন বিধায়কের বিরুদ্ধে ভোটের গোপনীয়তা ভঙ্গের অভিযোগ।
প্রদীপবাবুর প্রশ্ন, ওই অভিযোগে গোটা ভোট বাতিল করা হবে কেন? নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ওই তিন বিধায়কের ভোট বাতিল করে দিতে পারতেন নির্বাচন কমিশন। তা-না করে সম্পূর্ণ ভোট বাতিল করা হেয়েছ। এটা নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারে পড়ে না বলে দাবি করছেন রাজ্য কংগ্রেস প্রধান। |