অন্যদের সঙ্গে কনেযাত্রীদের অভ্যর্থনা করতে এসেছিল ছেলেটি। কিন্তু সেই কনেযাত্রীদের বাসের চাকাতেই পিষ্ট হয়ে গেল তার মাথা। মৃত হাসিবুল শেখের (১৩) বাড়ি মঙ্গলকোটের ঝিলু গ্রামের নবগ্রাম পাড়ায়। কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙায় বুধবার দুপুরের ঘটনা।
দুর্ঘটনার পরে উত্তেজিত জনতা বাস ভাঙচুর করে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে শুরু হয় পথ অবরোধ। পরে পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে অবরোধ তুলে দেয়। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাটোয়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোর স্থানীয় আলি হোসেন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙা গ্রামে বজু শেখের বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিল সে। |
|
|
মৃত কিশোরের শোকার্ত পরিবার। |
বাস ভাঙচুরের পরে। |
|
বুধবার ছিল বৌভাত।
এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, এ দিন দুপুর ১১টা নাগাদ একটি বাসে চেপে মঙ্গলকোটের কৈচর থেকে আসেন কনেযাত্রীরা। কনেযাত্রীদের স্বাগত জানাতে সেখানে দাঁড়িয়েছিল হাসিবুল-ও। বর্ধমান-কাটোয়া রোডের উপরে কনেযাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাসটিকে রাস্তার পাশে রাখার জন্য পিছিয়ে আনছিলেন বাসচালক। হাসিবুল ছিল বাসের পিছনেই। বাসের ধাক্কা খেয়ে রাস্তার উপরে পড়ে যায় সে। চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় হাসিবুলের মাথা।
এই ঘটনার পরেই উত্তেজিত হয়ে বাস ভাঙচুর করে জনতা। এর পরে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বাসিন্দারা। সরকারি বাস থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি, ছোট-বড় মালবাহী গাড়িও আটকে পড়ে। এমনিতেই রাস্তা সংস্কার ও অবৈধ মোটরভ্যান চলাচল বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে বাস বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা। তার উপরে আচমকা এই অবরোধের ফলে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।
প্রায় দু’ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল। পুলিশ জানিয়েছে, বাসটি আটক করে কাটোয়া স্টেডিয়াম চত্বরে রাখা হয়েছে। চালক পলাতক। দুর্ঘটনার পরে বৌভাতের অনুষ্ঠান হয়েছে কোনও রকমে।
|