সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ২৮ ফেব্রুয়ারি ধর্মঘটের দিন অফিসে না যাওয়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরে সরকারি কর্মীদের বেতন কেটে নেওয়ার কথা জানাল প্রশাসন। মঙ্গলবার বালুরঘাটে জেলাশাসকের দফতরে কর্মরত পাঁচ কর্মীর ওই দিনের বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ধর্মঘটের দিন অফিস না যাওয়ায় মোট ৮ জনকে শো’কজ করা হয়েছিল। ৩ জন অসুস্থতার কারণ দেখিয়েছেন। তাঁরা চিকিৎসা সংক্রান্ত শংসাপত্র জমাও করেছেন। তাই তাঁদের বেতন কাটা হয়নি। বাকি ৫ জন শো’কজের যে উত্তর দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়। তাই তাঁদের ছুটির আবেদন মঞ্জুর হয়নি। তবে একদিনের বেতন কাটা হলেও, তাঁদের চাকরির মেয়াদ থেকে একদিন বাদ দেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসন সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে জেলায় শতাধিক সরকারি কর্মীকে ধর্মঘটের দিন অফিসে গরহাজিরার জন্য শো-কজ করা হয়। বেতনে কোপ পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জনের। ইতিমধ্যে জেলা এবং মহকুমা খাদ্য সরবরাহ দফতরের ১০ জন কর্মীর বেতন কাটার নোটিস জারি হয়। জেলা পূর্ত দফতরের ৪ কর্মীকে শো-কজের পর বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরের ৫ জন, বুনিয়াদপুর মহকুমাশাসকের দফতরের ২ জন একই শাস্তি পেতে চলেছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক ভানু কিশোর দত্ত বলেন, “এই সিদ্ধান্ত বেআইনি। ‘সার্ভিস কন্ডাক্ট রুল’-এর বিরোধী। আমরা আদালতে যাব।” তাঁর বক্তব্য, ঠিক কতজন কর্মীর বেতন কাটা হচ্ছে তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই তাঁরা আন্দোলনে নামবেন। তবে বেতন কাটার কোপে পড়া অধিকাংশ সরকারি কর্মী শো-কজের উত্তরে জানিয়েছেন, ধর্মঘটের কারণে তারা অফিসে যেতে পারেননি। সে কথা বিবেচনা করে তাদের ছুটি মঞ্জুর করা হোক। বেতন কাটা হচ্ছে জেলাশাসকের অফিসের কর্মী তথাকো-অর্ডিনেশন কমিটির কালেকটরেট ইউনিটের আহ্বায়ক বিকাশ সাহার। তাঁর বক্তব্য, সার্ভিস রুলে ধর্মঘটে সামিল হওয়ার অধিকার আছে। আন্দোলন হবে। |