আর্থিক দুর্নীতির মামলায় ফের শিলিগুড়ি আদালতে হাজিরা দিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য পীযূষকান্তি সাহা ও রেজিস্ট্রার দিলীপ সরকার। মঙ্গলবার তাঁরা হাজির হলেও সহ অভিযুক্ত ৪ জনের গরহাজিরার কারণে মামলাটি দার্জিলিং আদালতে স্থানান্তর বিষয়ক শুনানি পিছিয়ে দিয়েছেন বিচারক মধুমিতা বসু। অনুপস্থিতদের তরফে আইনজীবী পার্থ চৌধুরী সময় চাওয়ায় আগামী ৩ মে ফের শুনানির নির্দেশ দেন বিচারক। আদালত সূত্রের খবর, এক মাস পরে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় আদালতে ওই মামলায় চার্জশিটে নাম রয়েছে যে ৬ জনকেই হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় দেড় কোটি টাকা নয়ছয়ের মামলায় সম্প্রতি চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে ৬ জনের নাম রয়েছে। |
পীযূষবাবু, দিলীপবাবু ছাড়া বাকি চারজনই বেসরকারি মুদ্রণ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশ সূত্রের খবর। মামলায় দিলীপবাবু ও পীযূষবাবু আগাম জামিন পেয়েছেন। চার্জশিট পেশের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি দিলীপবাবুকে সাসপেন্ডও করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলার বিচার দার্জিলিং আদালতে হওয়ার কথা। তাই মামলাটি শিলিগুড়ি আদালত থেকে স্থানান্তর বিষয়ক শুনানি হওয়ার কথা। শুনানির জন্যই হাজির হন দিলীপবাবু ও পীযূষবাবু। অন্য চার জন ছিলেন না। তাঁদের আইনজীবী পার্থ চৌধুরী আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। প্রাক্তন উপাচার্যের হয়ে মামলা লড়ছেন আইনজীবী দীপক নন্দী। দিলীপবাবুর হয়ে মামলাটি লড়ছেন পার্থবাবুই। সরকারি আইনজীবী মানিক সাহা বলেন, “ওই মামলাটি স্থানান্তরের জন্যই শুনানির কথা ছিল। কিন্তু, ২ জন হাজির হলেও চার্জশিটে নামা থাকা অন্য চারজন গরহাজির থাকায় শুনানি হয়নি। শুনানি হলে সরকারপক্ষের বক্তব্য পেশ করা হবে।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ওই দুর্নীতি মামলার গতিপ্রকৃতি নিয়ে অধ্যাপক-শিক্ষক-কর্মী মহলেও কৌতুহল রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই চান, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হোক। |