প্রধান শিক্ষককে পুনরায় স্কুলে ফিরিয়ে আনার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসী এবং অভিভাবকেরা। মঙ্গলবার হরিণঘাটার নোনাঘাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান তারা। পরে অবশ্য আশ্বাস পেয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
২০১১ সালের ১ মার্চ ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন বড়জাগুলিয়ার বরুণ ঘোষ। তবে এখন তিনি আপোস বদলি নিয়ে বাড়ির কাছের সন্তোষপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছেন। গ্রামবাসীরা জানান, বরুণবাবু ওই স্কুলে থাকাকালীন পড়াশোনার মান উন্নত ছিল। এমন কী মিড ডে মিলের ব্যবস্থাও ভালো ছিল। কিন্তু তিনি চলে যাওয়াতে সব দিক থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে পড়ুয়ারা। তাদের দাবি, অবিলম্বে ওই শিক্ষককে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিন্তু স্বেচ্ছায় বদলি নেওয়া বরুণবাবু বলেন, “আমি এখন বাড়ির কাছের স্কুলে কাজ করছি। আমার পক্ষে ফেরা সম্ভব নয়।” তিনি জানান, স্কুলের বাকি ৬ জন শিক্ষক এবং কর্মচারীরা প্রত্যেকেই যত্ন নিয়ে কাজ করতেন। তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
কিন্তু এ দিনের বিক্ষোভ এমন জায়গায় পৌছোয় যে স্কুলে আসতে বাধ্য হন বরুণবাবু। পুলিশও আসে। পরে অবশ্য প্রতিশ্রুতি পেয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের বতর্মান প্রধান শিক্ষক শ্যামল সিংহ রায় বলেন, “বরুণবাবু চাইলে স্কুলে ফিরে আসতে পারেন। আমার আপত্তি নেই। আমরা সরকারি নিয়ম মেনেই আপোস বদলি করেছিলাম।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অর্চনা ঘোষ সরকার বলেন, “বিক্ষোভের খবর জানি না। তবে ওই দুই শিক্ষক মিউচিয়াল ট্রান্সফার নিয়েছেন। কিন্তু তাতে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠনে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নেই।” |