শহরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে অবশেষে রিকশা ভাড়ার তালিকা তৈরি করল নবদ্বীপ পুরসভা। সেই সঙ্গেই শহরে মোটরভ্যানের প্রবেশও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
এই শহরের মধ্যে যাতায়াতের একমাত্র পরিবহণ হল রিকশা। রিকশাচালকদের দাপটে রাতে স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন অনেক নাগরিকই। ব্যস্ত সময়ে রিকশাচালকেরা যেমন খুশি ভাড়া চান বলেও বারবার অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণেই বারবার দাবি উঠেছিল, রিকশাভাড়ার নির্দিষ্ট তালিকা তৈরি করে ফেলতে পারলে সেই সমস্যার হাত থেকে রেহাই মিলবে। পুরপ্রধান তৃণমূলের বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, “নবদ্বীপের মধ্যে এক মাত্র পরিবহণ ব্যবস্থা রিকশা। কিন্তু কোনও কারণ ছাড়াই রিকশাভাড়া যথেচ্ছ ভাবে বেড়ে চলেছে। যে যেমন খুশি ভাড়া চাইছেন। এই অবস্থায় নবদ্বীপ পুরসভা সব দিক বিবেচনা করে একটি রিকশাভাড়ার তালিকা তৈরি করেছে। বাংলা নববর্ষ থেকে তা কার্যকরী হবে।” শহরের মানুষের বক্তব্য, নবদ্বীপের মধ্যেই এক দেড় কিলোমিটার যেতে হলে ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। যদি একটু বেশি রাতে অথবা ভোরে পোড়া মা তলা, হাসপাতাল, প্রাচীন মায়াপুর জন্মস্থান আশ্রম থেকে স্টেশন, খেয়াঘাট বা বিষ্ণুপ্রিয়া হল্টের মতো জায়গায় যেতে হলে ভাড়া অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু এই সব ক’টি ক্ষেত্রেই দূরত্ব দুই থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার। সেই সঙ্গে রিকশাচালকদের একটি বড় অংশের আচরণ নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে নাগরিকদের। পুরপ্রধান বলেন, “শহরে অনেক পর্যটক আসেন। তাঁরা রিকশাচালকদের হাতে হয়রান হন। তা বন্ধ করতে সাহায্য করবে এই ভাড়ার তালিকা।” তাঁর কথায়, “রিকশাচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেই ভাড়ার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এই শহরে অটো নেই। রিকশাই একমাত্র ভরসা। সে কথা রিকশাচালকদের মনে রাখতে হবে।” পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের দু’টি স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, খেয়াঘাট, জন্মস্থান আশ্রম, কোলেরডাঙা, পোড়া মা তলা, বুড়োশিব তলা, রাধা বাজার সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে এই ভাড়ার তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে।” |