|
|
|
|
চাকরির টোপ দিয়ে তোলা, গ্রেফতার যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সরকারি চাকরি করে দেওয়ার নাম করে বেকার যুবকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ মহম্মদ আজাজুল হক (৩২)। বাড়ি কোতোয়ালি থানার শিরিষডাঙ্গার রূপসা গ্রামে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে তল্লাশি চালিয়ে সোমবার রাতে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হলে তাকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম গ্ল্যাডি বোমজান। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৮ ও ৪৭১এই তিনটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, ওই যুবক দীর্ঘ দিন ধরেই এই ভাবে প্রতারণা করে আসছে। বেকার যুবকদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে কখনও ৩০ হাজার, কখনও ৪০ হাজার টাকা আদায় করেছে। বেকার যুবকদের কাছে চাকরির ‘ভুয়ো’ ফর্মও বিলি করত আজাজুল। পরে আবার ‘ভুয়ো’ কাগজপত্রও পাঠানো হত। কিছু দিন আগে শালবনি থানা এলাকার শালডহরা গ্রামের প্রশান্ত সিংহ নামে এক যুবকের কাছ থেকে এ ভাবেই ৩০ হাজার টাকা আদায় করে সে। প্রশান্তকে কালেক্টরেটে চাকরি করে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়েছিল।
একই ভাবে শালবনি থানা এলাকার হাতিমারির জয়দীপ রায়, মুহিসারার অজিত মাহাতোদের কাছ থেকেও সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ওই যুবক টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ। প্রতারককে ধরতে রীতিমতো ফাঁদ পাতে পুলিশ। সোমবার রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হয়। অভিযুক্তের আইনজীবী জামিনের আবেদন জানান। তবে, সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য শুনে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৭ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে খবর, পুলিশ ইতিমধ্যেই একাধিক কাগজপত্র উদ্ধার করেছে। যেখানে ওই যুবক লিখিত ভাবে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ বার ওই কাগজের হাতের লেখার সঙ্গে অভিযুক্ত যুবকের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে। এ দিনই সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। |
|
|
|
|
|