|
|
|
|
শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ চেয়ে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে নিযুক্ত শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও বিদ্যালয়গুলির স্থায়ী অনুমোদনের দাবিতে জেলাশাসকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করল পূর্ব মেদিনীপুর শিক্ষাসেবী সংগঠন। মঙ্গলবার তমলুকে জেলাশাসকের অফিসের সামনে বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন সংগঠনের সদস্যরা। পরে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। |
|
তমলুকে ছবি তুলেছেন পার্থপ্রতিম দাস। |
সংগঠনের জেলা সম্পাদক মিজারুনুদ্দিন সাহা ও কোষাধ্যক্ষ অরূপ দাস জানান, স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের পুনরায় পাঠদানের জন্য ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষে সর্বশিক্ষা মিশনের উদ্যোগে চালু হয় অল্টারনেটিভ ইনোভেটিভ এডুকেশন। এই কর্মসূচী রূপায়ণে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ২৯টি পাঠদান কেন্দ্র চালু করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের পড়ানোর জন্য ৫৬ জনকে চুক্তিতে অস্থায়ীভাবে শিক্ষাসেবী হিসাবে নিয়োগও করা হয়। কিন্তু গত ৩১ মার্চ চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও তাঁদের পুনর্নবীকরণ করা হয়নি। ফলে ওই পাঠদান কেন্দ্র, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
জেলা সর্বশিক্ষা মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার সমুদ্র তীরবর্তী বিভিন্ন মৎস্যখটি, ইটভাটায় কর্মরত পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়ার সুযোগ তৈরি হয় এই কেন্দ্রগুলি চালুর ফলে। জেলার ২৯টি কেন্দ্রে প্রায় ৫ হাজার পড়ুয়া প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ছে। কিন্তু চলতি বছর ৩১ মার্চ ওই কেন্দ্রগুলির শিক্ষাসেবীদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা নবীকরণ হয়নি। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে শিক্ষাসেবী ও ছাত্রছাত্রীরা। শিক্ষাসেবী সংগঠনের জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, চুক্তি পুনর্নবীকরণের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁরা সর্বশিক্ষা মিশনের কাছে জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। জেলা সর্বশিক্ষা মিশনের সদস্য তথা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত মণ্ডল বলেন, “এই বিশেষ শিক্ষাকেন্দ্র চালু রাখা ও শিক্ষাসেবীদের পুনর্নবীকরণের বিষয়ে রাজ্য সর্বশিক্ষা মিশনকে জানিয়েছি। পরে এই বিষয়ে আলোচনা করব।” |
|
|
|
|
|