|
|
|
|
কোঝিকোড় গেলেন না লক্ষ্মণ-জায়া |
আনন্দ মণ্ডল • তমলুক |
কোঝিকোড়ের পার্টি কংগ্রেসে গেলেন না লক্ষ্মণ শেঠ-জায়া তমালিকা পণ্ডা শেঠ।
কেন গেলেন না পূর্ব মেদিনীপুরের সিপিএমের একমাত্র মহিলা প্রতিনিধি? এক কালে হলদিয়ার দাপুটে নেতা, জেলবন্দি লক্ষ্মণের স্ত্রীর জবাব, “আমি কেন যেতে পারিনি, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করব না।” জেলা সিপিএম সূত্রের খবর, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতি’তেই তমালিকাদেবী পার্টি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারছেন না। তিনি যে যেতে পারবেন না, সে কথা গত শনিবারই তমালিকাদেবী জেলা নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন বলে সিপিএম সূত্রের খবর।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে পার্টি কংগ্রেসে যাওয়ার জন্য যে ৬ জন প্রতিনিধির তালিকা তৈরি হয়েছিল, সেখানে অবশ্য জায়গা হয়েছিল লক্ষ্মণ-জায়ার। হলদিয়ার পুরপ্রধান তমালিকাদেবী নিজে স্বামীর মতোই সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য কমিটিতেও রয়েছেন। লক্ষ্মণবাবু পার্টি কংগ্রেসে গিয়েছেন ৭ বার। যার মধ্যে দু’বার গিয়েছিলেন সস্ত্রীক। গত রবিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে বাকি ৫ প্রতিনিধি-- সিপিএমের জেলা সম্পাদক কানু সাউ, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানা, প্রশান্ত প্রধান, সত্যগোপাল মিশ্র এবং নিরঞ্জন সিহি কেরল রওনা হন। গেলেন না শুধু তমালিকাদেবী। ফলে, দলের এই পার্টি কংগ্রেসে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিলা প্রতিনিধি থাকছেন না। ‘পরিস্থিতি’ পাল্টাচ্ছে গত কয়েক বছর ধরেই। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে পরাজিত হন লক্ষ্মণ শেঠ। ‘নন্দীগ্রাম কাঁটা’য় ‘রাজ্যপাট’ হারানোর সেই শুরু। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে লক্ষ্মণবাবুর ‘দূরত্বে’র কথা বহু দিনই শোনা যাচ্ছিল। সে সূত্রে চলতি বছর রাজ্য সম্মেলনে সিপিএমের রাজ্য কমিটি থেকেও বাদ পড়েন লক্ষ্মণবাবু। নন্দীগ্রাম-নিখোঁজ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে দীর্ঘ দিন আত্মগোপন করেন। ১৭ মার্চ মুম্বইয়ের চেম্বুর থেকে দুই সঙ্গী-সহ সিআইডি-র হাতে ধরা পড়েন। আপাতত অশোক গুড়িয়া ও অমিয় সাউয়ের সঙ্গে হলদিয়াতেই জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। লক্ষ্মণবাবুর আত্মগোপন-পর্বেই দলের জেলা ও রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। ওই অবস্থাতেও জেলা সম্পাদকমণ্ডলীতে পুনর্নির্বাচিত হন। কিন্তু রাজ্য সম্মেলনে বাদ পড়েন রাজ্য কমিটি থেকে। কোঝিকোড়ে পার্টি কংগ্রেসের প্রতিনিধি তালিকা থেকেও বাদ পড়েন। |
|
|
|
|
|