আইপিএল এখনও যে ভাবে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে, ভাবতে দারুণ লাগে। বিশেষ করে আম জনতার সঙ্গে টুর্নামেন্টটার একাত্মতা। আগামী দু’মাস এটা তাতিয়ে রাখবে ক্রিকেটারদের। ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের নিয়েও যথেষ্ট উত্তেজনা থাকে।
দুই মহাশক্তি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আর চেন্নাই সুপার কিংসের লড়াই দিয়ে শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। মুম্বই গত বারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। চেন্নাই পরপর দু’বারের আইপিএলজয়ী। আমি নিশ্চিত এ বার চেন্নাইয়ের লক্ষ্য ট্রফির হ্যাটট্রিক। রেকর্ডটা হয়ে গেলে সেটা ভাঙা খুব কঠিন ব্যাপার। চেন্নাইয়ের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হল, প্রথম থেকে ওদের মূল টিমটা একই আছে। যার জন্য অধিনায়কের কাজটা সহজ হয়ে যায়। সে বুঝে যায় কোন পরিস্থিতিতে কোন ক্রিকেটার কী করতে পারে। ধোনি এই সুবিধাটা পাচ্ছে। চোটের জন্য অবশ্য ধোনি এ বার কয়েক জনকে পাচ্ছে না। শুরুর দিকে কয়েক জন আবার জাতীয় দল নিয়েও ব্যাস্ত। তবু শক্তিশালী টিম নামানোর মশলা ওর হাতে রয়েছে। ভারতীয়দের মধ্যে সুরেশ রায়না, রবীন্দ্র চাড্ডা, বদ্রিনাথ, অশ্বিনরা ভাল অস্ত্র। সঙ্গে ধোনি নিজে তো আছেই। টি-টোয়েন্টিতে ধোনি সত্যি সত্যিই ‘ওয়ার্ল্ডক্লাস’।
আমি কিন্তু এটাও বলব, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বুধবার কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলতে পারে ধোনিদের। ওরা হরভজন সিংহর হাতে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে। এটা সম্ভবত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ওর সাফল্যের পুরস্কার। ওখানে অনেক বড় নাম ছাড়াই ভাজ্জি এই টিমটা নিয়ে ভাল লড়াই করেছিল। এমনিতে ভাজ্জি নিজে জাতীয় দলে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। নতুন দায়িত্ব নিশ্চয়ই ওকে চাগিয়ে দেবে। ভারতের হয়ে অনেক বারই ওকে চ্যাম্পিয়নের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। আমি নিশ্চিত এত বড় সুযোগ ছেড়ে দেওয়ার ছেলে ভাজ্জি নয়। ভারতীয় বোলারদের নিয়ে মুম্বই আক্রমণ কিন্তু বেশ ভাল। মুনাফ পটেল, আরপি সিংহ, হরভজন আর প্রজ্ঞান ওঝার সঙ্গে যোগ হবে মালিঙ্গাও! টি-টোয়েন্টির নতুন বিস্ময় রিচার্ড লেভিকে দেখতেও এই মুহূর্তে সবাই উন্মুখ। চিরসবুজ সচিন তেন্ডুলকর তো আছেই। এ বার মুম্বই বেশ ভেবেচিন্তে টিম করেছে। অন্তত কাগজে-কলমে বেশ শক্তিশালী দেখাচ্ছে ওদের।
টি-টোয়েন্টিতে ফেভারিট দল বাছা বেশ কঠিন। সেই বিশেষ দিনে কে কেমন খেলল তার উপরই সব নির্ভর করে। আর চেন্নাই-মুম্বইয়ের মতো ম্যাচে কাউকে ফেভারিট বাছা আরও কঠিন। তবে টুর্নামেন্ট জমিয়ে দেওয়ার সব মশলা উদ্বোধনী ম্যাচে থাকছে। প্রথম দিন থেকেই ক্রিকেটভক্তেরা আইপিএল ফাইভে মজে যাবে। |