রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম থেকে পাওয়া চেক ভাঙাতে পারল না জেলার বেশ কয়েকটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। রীতিমতো অনুষ্ঠান করে কিছুদিন আগে সিউড়িতে নিগমের চেয়ারম্যান আবু আয়েশ মণ্ডল নিজে উপস্থিত থেকে চেকগুলি গোষ্ঠীগুলির হাতে তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকটি চেকে নিগমের মুখ্য হিসাবরক্ষকের সই না থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই চেকগুলি গোষ্ঠীগুলিকে ফেরত দিয়ে দেয়। প্রশানিক স্তরে এই পদ্ধতিগত ত্রুটির জন্য রামপুরহাটের ১ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ভুগতে হচ্ছে। জেলা নিগম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গোষ্ঠীগুলি এ বিষয়ে নিগমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। বিভাগীয় আধিকারিকরা চেকগুলি ফেরত নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সংশোধনীর জন্য পাঠিয়েও দেন। সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের জেলা কো-অর্ডিনেটর আল হিলাল রশিদির দাবি, “পদ্ধতিগত ত্রুটিগুলি সংশোধনের জন্য সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েকজন প্রাপক নতুন চেক পেয়েও গিয়েছেন।” নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিয়ে চেয়ারম্যান আবু আয়েশ মণ্ডল বলেন, “যাদের ক্ষেত্রে এমন ভুল হয়েছে, তারা পুরনো চেকগুলি ফেরত দিলেই ঠিক করে দেওয়া হবে।”
|
‘পুকুর’ মালিকদের অনুমতি না নিয়ে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে মাটি কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল মাড়গ্রাম থানার কালুহা পঞ্চায়েতে। মাড়গ্রাম থানার একডালা মৌজার ২৭ নম্বর দাগে মাটি কাটা হচ্ছে সোমবার থেকে। স্থানীয় বাসিন্দা জেরবান আলি, বদরুজ্জামানদের দাবি, “যেখানে মাটি কাটা হচ্ছে সেটা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন একটি পুকুর। অথচ না জানিয়ে সেখানে মাটি কাটা হচ্ছে। গত বছরের অ্যাকশন প্ল্যানে যে সব পুকুরের মাটি কাটার কথা ছিল সেগুলিতেও কাজ হচ্ছে না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।” রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সোমা সাউ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।” কালুহা পঞ্চায়েতের প্রধান কংগ্রেসের ফেরদৌসি বেগমের দাবি, “ওই দাগে ১ একর ১৮ শতক জায়গা আছে। যা পুরোটাই খাস জায়গা। ওই জায়গার মধ্যে ৮৪ শতক জায়গা পাট্টাদারদের। বাকি যে জায়গা আছে সেটাকে তাঁরা পুকুর বলে দাবি করছেন।” রামপুরহাট ২ ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক আব্দুল রেজ্জাক বলেন, “আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।” |