বিষ্ণুপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত প্রথম ডিভিশন ক্রিকেট লিগের চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলা মঙ্গলবার হয়ে গেল বিষ্ণুপুর স্টেডিয়ামে। মুখোমুখি হয়েছিল শরত ক্লাব, শালবাগান ও নবারুণ সঙ্ঘ, হাজরাপাড়া। ৭ উইকেটে হাজরাপাড়াকে হারিয়েছে শালবাগান। বিষ্ণুপুর মহকুমাশাসক অদীপ রায়, উপ-পুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
|
শশীভূষণ প্রসাদ যাদব স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতায় জয়ী হল পুরুলিয়ার দুবড়া এমইসি। ফাইনালে টাইব্রেকারে তারা হুগলি আদিবাসী সংঘকে পরাজিত করে। নিতুড়িয়ার পারবেলিয়ায় সরস্বতী ক্লাব ও আদিবাসী ক্লাবের পরিচালনায় এই টুর্নামেন্ট হয়। যোগ দিয়েছিল ঝাড়খণ্ড ও এ রাজ্যের ১২টি দল। ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ এবং ‘ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট’ নির্বাচিত হন হুগলি আদিবাসী সঙ্ঘের সঞ্জিত মাণ্ডি ও বিমল মাণ্ডি। ফাইনাল ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যর স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, ইসিএলের পদস্থ আধিকারিকেরা। ওই দিন এলাকার প্রাক্তন ফুটবলারদেরও পুরস্কৃত করা হয়।
|
জনসংযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বোলপুর থানার উদ্যোগে ২ এপ্রিল থেকে বোলপুর টাউন ক্লাবের মাঠে শুরু হয়েছে ৮ দলের নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতা। এতে যোগ দিয়েছে বোলপুর টাউন ক্লাব, বোলপুর ইয়ং টাউন ক্লাব, সুরজিৎ স্মৃতি সঙ্ঘ, পারুলডাঙা পল্লি উন্নয়ন সমিতি, দুর্গাপুর সিধো-কানহু লোকসংস্কৃতি কেন্দ্র, শান্তিনিকেতন আদিবাসী মার্শাল গাঁওতা এবং বাহিরী একাদশ। উদ্বোধনী খেলায় মাঠে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের এসডিপিও দেবস্মিতা দাস, বোলপুর থানার আইসি কাজল বৈরাগ্য, স্থানীয় উপ-পুরপ্রধান নরেশচন্দ্র বাউড়ি, ব্লক যুবকল্যাণ আধিকারিক পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিশিষ্টজনেরা
|
সাঁইথিয়ার অটুয়া জয়দুর্গা ক্লাব পরিচালিত ৭২ দলের ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল লাভপুরের পূর্ণা বিএন ক্লাব। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ১-২ এপ্রিল ওই প্রতিযোগিতা হয়। ফাইনালে লাভপুরেরই ভালকুটি অন্নপূর্ণা ক্লাবকে হারায় পূর্ণা বিএন ক্লাব। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন পূর্ণার শুভাশিস মণ্ডল এবং ম্যান অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হয়েছেন পূর্ণারই তিরু মালাকার। আয়োজক সংস্থার সম্পাদক রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, “উইনার্স ও রানার্স দলকে ট্রফি-সহ পুরস্কার হিসেবে যথাক্রমে ২০০১ ও ১৫০১ টাকা তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
|
খেলার দুনিয়ায় বেশি পরিচিত ‘খোকনদা’ নামেই। খেলা ছেড়েছেন দীর্ঘকাল। তবু ৪৬ বছর বয়সেও খেলার মাঠের মায়া কাটাতে পারেনি। পেশায় শান্তিনিকেন নবনালন্দা হাইস্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক, বোলপুরের ভুবনডাঙার গৌতম সাহা আজও ফুটবল, ভলিবল ও বাস্কেটবল খেলায় রেফারি হওয়ার ডাক পেলে পারিশ্রমিকের তোয়াক্কা না করে নির্দ্বিধায় ছুটে যান।
১৯৭৯-৮০ সালে খোকনদা জাতীয় স্তরের বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় রাজ্যদলের হয়ে যোগ দেন। ১৯৮২-৮৩ সালে যোগ দিয়েছিলেন সর্বভারতীয় স্কুল প্রতিযোগিতাতেও। জেলা স্কুল প্রতিযোগিতায় দৌড়ে রেকর্ড গড়েন। যা আজও কেউ ভাঙতে পারেননি বলে তাঁর দাবি। খোকনদার কোচিংয়ে ১৯৮৯ সালে জেলার মহিলা দল অল বেঙ্গল বাস্কেটবল প্রতিযোগিতায় রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়।
খোকনদার রেফারি-জীবনেও নানা উজ্জ্বল পালক যুক্ত হয়েছে। অল ইন্ডিয়া ইন্টার ইউনিভার্সিটি ফুটবল, রাজ্য যুব উৎসবের মত প্রতিযোগিতায় রেফারিং করেছেন। ২০০৫ সালে যুব উৎসবে মোহনবাগান বনাম পিয়ারলেসের খেলা পরিচালনাও করেছেন। স্কুল জীবনের পর খোকনদা খেলা শুরু করেন বোলপুর টাউন ক্লাবে। বর্তমানে লালবাঁধ যুব সমিতির সম্পাদক। সম্প্রতি গ্বালিয়রের পাইকা-র ‘মাস্টার ট্রেনার’ হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েও এসেছেন। ‘খোকনদা’ গৌতম সাহা-র কথায়, “যতদিন পারব মাঠে থাকব। খেলার মাঠের যে কী টান তা যারা মাঠে নেমেছেন তারাই জানেন।”
|
সিএবি (ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল) আয়োজিত অনূর্ধ্ব ১৯ আন্তঃজেলা ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় প্রথম পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছে বীরভূম জেলা দল। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিউড়িতে অনুষ্ঠিত প্রথম পর্যায়ের খেলায় যথাক্রমে বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বীরভূম। সিএবি-র এই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা আগামী ৯-১১ এপ্রিল উত্তর ২৪ পরগণার শ্যামনগরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেখানে দক্ষিণ দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলা দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জেলা দল। |