জাল মার্কশিট দিয়ে বিশ্বভারতীতে চাকরি সংক্রান্ত মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল মঙ্গলবার থেকে। এ দিন বোলপুর আদালতের এসিজেএম পীযূষ ঘোষের এজলাসে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সরকার পক্ষের আইনজীবী ফিরোজকুমার পাল বলেন, “বিশ্বভারতীর প্রাক্তন কর্মসচিব তথা এই ঘটনার অভিযোগকারী সুনীল সরকারের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। আজ, বুধবার ফের তাঁর সাক্ষ্য নেওয়া হবে।”
২০০৪ সালের ৩১ মে সুনীলবাবু বোলপুর থানায় বিশ্বভারতীর অঙ্কের শিক্ষিকা মুক্তি দেবের বিরুদ্ধে জাল মার্কশিট দিয়ে বিশ্বভারতীতে শিক্ষকতা করার অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা করা, ষড়যন্ত্র করা, জাল নথি-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে তদন্তভার পায় সিআইডি। সিআইডি আদালতে চার্জশিটও জমা দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৯৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মুক্তিদেবীকে নিয়োগ করা হয়। পরে তিনি গবেষণা করার আবেদন করলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, তাঁর মার্কশিট জাল। কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত করে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। তদন্তে উঠে আসে নিয়োগ কমিটির দায়িত্বে থাকা বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য দিলীপ সিংহ ও কর্মসচিব দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের নামও। এ দিন প্রাক্তন উপাচার্য ও মুক্তিদেবী বিচারকের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। |