পঞ্চায়েতের প্রধান ও দুই কর্মীর বিরুদ্ধে বছরে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করলেন বিডিও। লাভপুরের সিপিএম পরিচালিত হাতিয়া পঞ্চায়েতের ঘটনা। প্রধান-সহ অভিযুক্তেরা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০-’১১ আর্থিক বছরে ১০০ দিন কাজের প্রকল্পের আওতায় হাতিয়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোঁসাইবাবার মঠ থেকে এক গ্রামবাসীর বাড়ি পর্যন্ত ইটের খোয়া ও মোরাম রাস্তা তৈরির জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। যদিও বরাদ্দ অর্থে কোনও কাজই হয়নি বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তাঁরা বিডিও, জেলাশাসক এমনকী প্রাক্তন পঞ্চায়েতমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেন। ব্লক ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক ভাবে তদন্ত করা হয়। মঙ্গলবার লাভপুর থানায় হাতিয়ার সিপিএম প্রধান শিশিরকুমার দাস, ওই পঞ্চায়েতের তৎকালীন কর্ম-সহায়ক দেবদাস চক্রবর্তী এবং ‘টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট’ অশোক মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন লাভপুরের বিডিও অনাবিল দত্ত। স্থানীয় বাসিন্দা নির্মল মণ্ডল, তপন মুখোপাধ্যায়দের অভিযোগ, “বরাদ্দ টাকায় কোনও কাজই হয়নি। ওই দুই কর্মীর সঙ্গে যোগসাজশ করে প্রধান টাকা আত্মসাৎ করেছেন।”
প্রধান শিশিরবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “নির্ধারিত রাস্তায় কাজ হয়েছে। আসলে গ্রামবাসীরাই ওই রাস্তার জন্য বরাদ্দ কিছু উপকরণ অন্য জায়গায় ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন।” দেবদাসবাবু বর্তমানে লাভপুর ১ পঞ্চায়েতে কর্মরত। তাঁরও দাবি, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাস্তার উপকরণ গ্রামবাসীরা নিজেদের কাজে লাগিয়েছেন। সেই সময়েই প্রধানকে লিখিত ভাবে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। প্রধানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রোশের কারণে আমাকেও মিথ্যা অভিযোগে জড়ানোর চেষ্টা করছেন প্রধানের বিপক্ষ দলের লোকজন।” এখন লাভপুর ১ ব্লক অফিসে কর্মরত অশোকবাবুর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
লাভপুরের বিডিও অবশ্য বলেন, “তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” ওই দুই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে নিয়মমাফিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। |