|
|
|
|
পুড়ে খাক গোটা গ্রাম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চাঁচল |
রান্নাঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল গোটা গ্রাম। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের দৌলা -টোলারামপুরে সোমবার রাতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে ছাই হয়েছে গ্রামের ৪৫টি পরিবারের ১০০ কাঁচা বাড়ি। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২৫ কিলোমিটার দূরের চাঁচল থেকে দমকল পৌঁছানোর আগেই গোটা গ্রাম কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। পরে দমকল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে ঘরবাড়ি ছাড়াও মজুত ধান, গম -সহ সর্বস্ব পুড়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন ওই ৪৫টি পরিবারের ২০০ জন মানুষ। দু’বছর আগেও আগুনে পুড়ে গিয়েছিল ওই গ্রামটি। ফের একই ভাবে অগ্নিকাণ্ডের সর্বস্ব হারিয়ে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। চাঁচলের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক অশোক সরকার বলেছেন, “দৌলায় আগুনে ৪৫টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে গিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। রাতেই বিডিওকে এলাকায় যেতে বলা হয়েছে। দুর্গতরা যাতে দ্রুত ত্রাণ পান সেটা দেখা হচ্ছে।” দমকল ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে রান্না করার সময় এক বাসিন্দার রান্নাঘরে প্রথমে আগুন লাগে। হাওয়ায় নিমেষে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। ওই পরিবারগুলির শোওয়ার ঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর মিলিয়ে পুড়ে যায় ১০০টি বাড়ি। গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দাই ক্ষুদ্র কৃষক ও দিনমজুর। মজুত শস্যের পাশাপাশি পরনের পোশাকটুকু ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই দুর্গত বাসিন্দাদের। আগুন নেভার পরে গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে কান্না আর হাহাকার। দুর্গত দুই বাসিন্দা রামা রায় ও ভুটন রায় বলেন, “দু’বছর আগেও এ ভাবেই আগুনে সব পুড়ে যাওয়ায় পথে বসতে হয়েছিল। তারপর এতদিনে কোনও ক্রমে ফের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু তৈরি করতে পেরেছিলাম। ফের সব শেষ হয়ে গেল। কীভাবে দিন চলবে জানি না।” ঘটনার পরই এলাকায় যান ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ দলের নেতারা। বিকাশবাবু বলেন, “দুর্গতরা দ্রুত যাতে ত্রাণ পান প্রশাসনকে তা দেখতে বলা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|