কেউ বা কারা চুপিসারে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জমে থাকা বর্জ্যে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ। গত দু’ দিন ধরে ওই ঘটনায় উদ্বিগ্ন শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। চৈত্রের হাওয়ায় তা চারিদিকে ছড়িয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। তা ছাড়া ধোঁয়ায় চারদিক ভরে যাচ্ছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কেউ ওই কাজ করছে সন্দেহ প্রকাশ করে সোমবার পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকায় পুরসভার কর্মী থাকলেও অনেকটা জায়গা নিয়ে তা গড়ে ওঠায় কোথায় কে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে তা নজরদারি করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তাঁরা পুরসভায় জানিয়েছেন। এ দিন সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্তকে নিয়ে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে গিয়ে পরিস্থিতি দেখেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। এর পরেই অভিযোগ জানানো হয় পুলিশে। পুলিশ ঘটনা খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে। মেয়র বলেন, “কেউ বা কারা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জমে থাকা আবর্জনায় আগুন লাগিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি বিপজ্জনক। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের চার ধারে পাঁচিল দেওয়ার কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে। ইতিমধ্যেই সেখানে মশা-মাছির উপদ্রব ঠেকাতে ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে।” |
পুরসভার সন্দেহ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কেউ আগুন লাগাচ্ছেন। এমনিতেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের দূষণ নিয়ে অভিযোগ তুলে বাসিন্দার একাংশ আন্দোলনে নেমেছিলেন। পুরসভার বিরুদ্ধে ফের তাদের উস্কে দিতেই এ কাজ করা হচ্ছে। বাসিন্দাদের ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে। যাতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানোর দাবি তুলে তাঁরা সরব হন। ধোঁয়ায় এলাকা ভরে গিয়ে সমস্যা তৈরি হলে বাসিন্দারা বিরক্ত হবেন। সে কারণেই কেউ লুকিয়ে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। শনিবার গভীর রাতে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল যায়। রবিবারও দমকলকে যেতে হয়েছে। এ দিন পুরসভার তরফে সেখানে জলের গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়। আবর্জনায় আগুন লাগানো হয়েছে নজরে পড়লে দ্রুত তা নেভাতে তৎপর হতে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত জানান, বিষয়টি উদ্বেগের। আবর্জনায় এ ভাবে আগুন ধরিয়ে দিলে হাওয়ায় তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের দূষণ সমস্যা মেটাতে তাঁরা উদ্যোগী। আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ তৈরির প্রকল্পও দ্রুত রূপায়ণ করতে চান তাঁরা। |