কয়েক লক্ষ টাকায় তৈরি বাজার আছে। অথচ ক্রেতারা সেখানে যায় না। বিক্রেতারাও দোকান খুলে বসেন খোলা আকাশের নীচে। বাজারে জমছে ব্যবসায়ীদের মালপত্র। অপরিকল্পিত ভাবে তৈরি হলদিবাড়ি পুরসভার মাছ বাজারের এমনই বেহাল দশা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ওই মাছ বাজারে ক্রেতারা যেতে চায় না। তাই তাঁরা ওই বাজারের বাইরে পলিথিন টানিয়ে দোকান খুলে বসতে বাধ্য হচ্ছেন। হলদিবাড়ি ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন, “সমস্যার সমাধানে মাছ বাজার ভেঙে ফের নতুন করে তৈরির দাবি জানানো হয়েছে।” ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অস্বীকার করেননি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ দত্ত। তিনি বলেন, “সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। নতুন মাছ বাজার তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।” |
হলদিবাড়ি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৭ সালে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করে ওই মাছ বাজার তৈরি হয়। শুরুতে স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল বসার জায়গা পেয়ে খুশি হয়েছিলেন। ক্রেতারাও স্বস্তি ফিরে পায়। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে জটিলতা দেখা দেয় বাজারের সামনে পড়ে থাকা ফাঁকা জায়গা ঘিরে। গ্রাম থেকে আসা মাছ বিক্রেতারা বাজারে না বসে ওই ফাঁকা জায়গায় মাছ বিক্রি শুরু করে। ফলে মূল বাজারে ঢোকার আগে ক্রেতারা সেখান থেকে মাছ কিনে ফিরে চলে যেতে থাকে। ওই ঘটনায় বড় মাছ ব্যাবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, টানা এক বছর ওই সমস্যা চলেছে। পুরসভা কর্তাদের বিষয়টি কয়েক দফায় জানানো হয়েছে। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর পরে নিরুপায় মাছ বিক্রেতারা পুরসভার তৈরির বাজার ছেড়ে ফাঁকা জায়গায় পলিথিনের চাদর টাঙিয়ে মাছ বিক্রি শুরু করে। প্রায় ১৪ বছর থেকে ফাঁকা পড়ে থাকা পুরসভার মাছ বাজারটি ক্রমশ গুদাম ঘর হয়ে উঠেছে। এখন সেখানে মজুত থাকে ব্যবসায়ীদের মালপত্র। মাছ রাখার জায়গা দখল করেছে কার্টুন। সামনে যে এলাকায় মাছ বিক্রি চলছে সেখানকার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। জলকাদার মধ্যে চলছে কেনাকাটার কাজ। স্থানীয় ক্রেতাদের অভিযোগ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছ বাজার চললেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। পুরনো মাছ বাজারটি যে ভাবে গুদাম ঘর হয়ে উঠেছে সেটাও মেনে নেওয়া যায় না। মাছ বিক্রেতা পরিমল রায় বলেন, “পুরসভা এমন জায়গায় মাছের বাজার তৈরি করেছে যেখানে ক্রেতারা যেতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে মাটিতে বসে দোকান করতে হচ্ছে। এখানেও পরিস্থিতি খারাপ। জলকাদায় বসে দোকান চালাতে হচ্ছে।” |